1. [email protected] : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারসংবাদ.কম : শেয়ারসংবাদ.কম
  3. [email protected] : Zahir Islam : Zahir Islam
  4. [email protected] : muzahid : muzahid
  5. [email protected] : nayan : nayan
  6. [email protected] : khadija : khadija khadija
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৫ অপরাহ্ন

ধারদেনায় চলছে ১০ ইসলামি ব্যাংক

  • আপডেট সময় : শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪

সঞ্চয়কারীদের মধ্যে আস্থা কমে যাওয়ায় ইসলামি ব্যাংকগুলোর আমানত ক্রমাগত কমছে। পাশাপাশি ব্যাপক ঋণ অনিয়মের কারণে শরিয়াহভিত্তিক কয়েকটি ব্যাংক এখন তারল্য সংকটে নিমজ্জিত। এক সময়ে আমানতে উপচে পড়া এসব ব্যাংক এখন চলছে ধারদেনা করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক সম্প্রতি বলেছেন, ব্যাংকিং খাতের স্বার্থে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এখন এই ইসলামি ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দিচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, চার থেকে পাঁচটি ইসলামি ব্যাংকের নাজুক অবস্থার কারণে সামগ্রিকভাবে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা ইমেজ সংকটে ভুগছে। দেশে মাত্র দুই-তিন বছর আগেও ইসলামি ব্যাংকগুলো বিপুল পরিমাণ তারল্য নিয়ে বসেছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, গত ডিসেম্বরের তুলনায় ইসলামি ব্যাংক ও প্রচলিত ব্যাংকগুলোর ইসলামি ব্যাংকিং শাখায় মোট আমানত দুই শতাংশ বা আট হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা কমে গত জানুয়ারিতে চার লাখ ১৩ হাজার ৯৬৯ কোটি টাকা হয়।

দেশের ১০ ইসলামি ব্যাংকের আমানত সবচেয়ে বেশি কমেছে। গত জানুয়ারিতে এসব ব্যাংকের আমানত কমেছে আট হাজার ৮৩২ কোটি টাকা।

তবে একই সময়ে প্রচলিত ব্যাংকগুলোর ইসলামি ব্যাংকিং শাখায় আমানত বেড়েছে দুই হাজার ১৫৩ কোটি টাকা। আমানত কমে যাওয়া ও তারল্য সংকট থাকা সত্ত্বেও গত জানুয়ারিতে ইসলামি ব্যাংকগুলো ঋণ দিয়েছে চার হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা।

অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আমিন এই বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, কয়েকটি ইসলামি ব্যাংক ঋণ অনিয়মে জড়িত। এটি তাদের কর্পোরেট সুশাসন নষ্ট করেছে। বর্তমানে উচ্চ সুদের হারের কারণে আমানতকারীরা ব্যাংকের পরিবর্তে ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বেশি বিনিয়োগ করছেন। এটি ইসলামি ব্যাংকগুলোর আমানত কমে যাওয়ার আরেকটি কারণ।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোাবাল ইসলামী ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকে অনিয়মের কারণে চ্যালেঞ্জে পড়েছে। এই ছয় ব্যাংক দীর্ঘদিন ধরে নগদ জমা সংরক্ষণ অনুপাত (সিআরআর) ও বিধিবদ্ধ তারল্য অনুপাতের (এসএলআর) ঘাটতির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চলতি হিসাবের ঘাটতিতে ভুগছে।

আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, তারল্য সংকটের কারণে আমাদের ব্যাংক কর্মীদের বেতন দিতে হিমশিম খাচ্ছে। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর আলম বলেন, আমাদের ব্যাংকের অবস্থা ধীরে ধীরে ভালো হচ্ছে। ব্যাংকিং খাতে চলমান সংকটের কারণে ইসলামি ব্যাংকগুলোর আমানত কমেছে।

নিয়ম অনুসারে, ব্যাংকগুলোকে সিআরআর হিসেবে প্রতি দিনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নির্দিষ্ট পরিমাণ জামানত রাখতে হয়। ব্যাংকগুলোকে গ্রাহকদের আমানতের ন্যুনমত অংশ নগদ অর্থ, স্বর্ণ বা অন্যান্য সম্পদ জামানত হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

কমলো সোনার দাম

  • ২৫ নভেম্বর ২০২৪
  • সূচকের পতনে চলছে লেনদেন

  • ২৪ নভেম্বর ২০২৪