৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ অর্থবছরের জন্য শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৬টি ব্যাংকের মধ্যে ৩৩টি ব্যাংক শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড দিয়েছে। এরমধ্যে ১৮টি ব্যাংক ১৪৭ কোটি বোনাস ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। যার বাজার মূল্য রয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১৮টি ব্যাংকের মধ্যে কেবল ২টি ব্যাংক বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে। বাকি ১৬টি ব্যাংক বোনাস শেয়ারের পাশাপাশি ক্যাশ ডিভিডেন্ডও ঘোষণা করেছে। এই ১৮টি ব্যাংক সমাপ্ত অর্থবছেরের জন্য ১৪৬ কোটি ৭৭ লাখ ৮২ হাজার ৮৩টি বোনাস শেয়ার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এতে ব্যাংকগুলোর পরিশোধিত মূলধন বাড়বে ১ হাজার ৪৬৭ কোটি ৭৮ লাখ ২০ হাজার ৮৩০ টাকা।
একই সময়ে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৬টি ব্যাংকের মধ্যে ৩১টি ব্যাংক ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এই ব্যাংকগুলো মোট ৩ হাজার ৩২২ কোটি ২৯ লাখ টাকার ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ বোনাস শেয়ারের দ্বিগুণের বেশি ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ব্যাংকগুলো। এটি বাজারের জন্য অবশ্যই ইতিবাচক দিক বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
তবে ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণার কড়াকড়ি আরোপের আগে সর্বশেষ ২০১৮ সালে ব্যাংকগুলো ২২০ কোটি ৩৩ লাখ ৪৩ হাজার ৩৯৫টি বোনাস শেয়ার দিয়েছিল। ওই বছর বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছিল ১৬টি ব্যাংক। আর ৮টি ব্যাংক ক্যাশ ডিভিডেন্ডের পাশাপাশি বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছিল। অর্থাৎ ২০১৮ সালে ২৪টি ব্যাংকের বোনাস শেয়ার শেয়ারবাজারে যোগ হয়েছিল।
এদিকে সর্বশেষ ২০২২ সালে তালিকাভুক্ত ২৪ ব্যাংক ১৪২ কোটি ১৮ লাখ ৪ হাজার ৪৮৪টি বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছিল। এতে ব্যাংকগুলোর ১ হাজার ৪২১ কোটি ৮০ লাখ ৪৪ হাজার ৮৪০ টাকার পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধি পায়।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনেক ব্যাংককে ব্যাসেল-২ এর শর্ত পরিপালনে বোনাস শেয়ার দিতে হচ্ছে। তবে অনেক ব্যাংকের ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেওয়ার সক্ষমতাও নেই। একটা পর্যায়ে গিয়ে হয়তো ঠিক হয়ে যাবে। তারপরেও বোনাস শেয়ারের কারণে শেয়ারবাজার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। চাহিদা না থাকা সত্ত্বেও প্রতিবছরই বোনাস শেয়ারের বড় চাপ বাজারে আসে।