বিদায়ী সপ্তাহে (০৫-০৯ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পাশাপাশি টাকার অংকে লেনদেন বেড়েছে। সপ্তাহজুড়ে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ৮০২ কোটি ৭২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আগের সপ্তাহে যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৮২৩ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহজুড়ে লেনদেন বেড়েছে ১ হাজার ৯৭৮ কোটি ৯৯ লাখ ২০ হাজার টাকা বা ৭০.০৮ শতাং। এই লেনদেন বৃদ্ধিতে মূখ্য ভূমিকায় ছিল ১৯ খাত। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এই তথ্য জানা গেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২১ খাতের মধ্যে শুধুমাত্র পাট ও কর্পোরেট বন্ড খাতে লেনদেন কমেছে। অন্য ১৯ খাতে মোট লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ৭২১ কোটি ৬২ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৯৮.৩১ শতাংশ।
জানা যায়, গত সপ্তাহে শতাংশের হিসেবে বা টাকার অংকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন বেড়েছে সেবা ও আবাসন খাতে। এখাতে সপ্তাহজুড়ে মোট লেনদেন হয়েছে ৭৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকার, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৪৯ কোটি ৫০ হাজার টাকা ২০০.৫৫ শতাংশ বেশি।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন বেড়েছে বিবিধ খাতে। সপ্তাহজুড়ে এ খাতে মোট ১৬৮ কোটি ৫০ হাজার টাকা, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ১০৮ কোটি ৮৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা বা ১৮০.৩৯ শতাংশ বেশি।
তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন বেড়েছে ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে। সপ্তাহজুড়ে এ খাতে লেনদেন হয়েছে ২৪৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৪১ কোটি ৬০ লাখ জার টাকা বা ১৩৩.১ শতাংশ বেশি।
অন্য ১৬ কোম্পানির মধ্যে-
চামড়া খাতে ৮৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৪৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা বা ১১৪.১৪ শতাংশ বেশি।
আর্থিক খাতে ৫৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা বা ১০২.৭ শতাংশ বেশি।
মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ১০৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৫২ কোটি ৮৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বা ১০২.৪৩ শতাংশ বেশি।
লাইফ ইন্স্যুরেন্স খাতে ১২৩ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৫০ কোটি ৬০ লাখ টাকা বা ৬৯.১ শতাংশ বেশি।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৯১ কোটি ৩৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বা ৬৭.২৯ শতাংশ বেশি।
সিরামিক খাতে ১৩৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৪২ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বা ৪৬.৭৩ শতাংশ বেশি।
প্রকৌশল খাতে ৫০৯ কোটি ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৫০ কোটি ৬ লাখ টাকা বা ৪১.৮ শতাংশ বেশি।
তথ্য প্রযুক্তি খাতে ২৭৪ কোটি ৭৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৭৫ কোটি ৯৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বা ৩৮.২২ শতাংশ বেশি।
জেনারেল ইন্স্যুরেন্স খাতে ১২০ কোটি ৭৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা বা ৩৫.৩৮ শতাংশ বেশি।
ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১ হাজার ৫৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ২৫৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বা ৩১.৮৪ শতাংশ বেশি।
ব্যাংক খাতে ৪২০ কোটি ২৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৮৬ লাখ ৯০ লাখ টাকা বা ২৬.০৭ শতাংশ বেশি।
বস্ত্র খাতে ৬৯৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৩০ কোটি ৮৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা বা ২৩.২ শতাংশ বেশি
টেলিকমিউনিকেশন খাতে ৫০ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৯ কোটি ২৬ লাখ টাকা বা ২২.৫৬ শতাংশ বেশি।
কাগজ ও প্রকাশনা খাতে ৩৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ২ কোটি ৬৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা বা ৮.০০ শতাংশ বেশি।
সিমেন্ট খাতে ৪০ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৬৭ লাখ টাকা বা ১.৬৮ শতাংশ বেশি।
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ৪২৯ কোটি ৯২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ১ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা বা ০.৩ শতাংশ বেশি।