পতনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না দেশের শেয়ারবাজার। গতকাল বুধবারও ঢাকা ও চট্টগ্রাম উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে মূল্য সূচকের পতনে লেনদেন হয়েছে। প্রথম কর্মদিবস সোমবার বড় পতন হয়েছে। চলতি সপ্তাহের চার কর্মদিবসই পতন দিয়ে শেষ হয়েছে দেশের শেয়ারবাজার।
এদিকে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস আজ বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক (ডিএসইএক্স) কমেছে ৭৭ পয়েন্ট। সূচকের এমন পতনের নেপথ্যে ভূমিকায় ছিল ১০ কোম্পানির শেয়ার। লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স অ্যানালাইসিস পোর্টাল সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিগুলো হলো- বিকন ফার্মা, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, ন্যাশনাল ব্যাংক, রেনাটা, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, ব্রাক ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, লাফার্জাহোলসিম বাংলাদেশ, মার্চেন্টাইল ব্যাংক এবং পূবালী ব্যাংক পিএলসি। আলোচ্য কর্মদিবসে কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর কমার কারণে ডিএসইর সূচক কমেছে ২৭ পয়েন্টের বেশি।
আজ ডিএসইর সূচক পতনের শীর্ষ ভুমিকায় ছিল বিকন ফার্মা। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ৭ টাকা ৯০ পয়সা। যে কারণে ডিএসইর সূচক কমেছে ৫.১৮ পয়েন্ট।
এদিন ডিএসইর সূচক পতনের দ্বিতীয় ভুমিকায় ছিল ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো। আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ৫ টাকা ৫৬ পয়সা। যে কারণে ডিএসইর সূচক কমেছে ৩.৭৭ পয়েন্ট।
একইভাবে আজ ডিএসইর পতন ঘটিয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক ৩.৬৩ পয়েন্ট, রেনাটা ৩.২৯ পয়েন্ট, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ ২.৩৫ পয়েন্ট, ব্রাক ব্যাংক ২.০৪ পয়েন্ট, উত্তরা ব্যাংক ১.৯২ পয়েন্ট, লাফার্জাহোলসিম বাংলাদেশ ১.৭৬ পয়েন্ট, মার্চেন্টাইল ব্যাংক ১.৭১ পয়েন্ট এবং পূবালী ব্যাংক পিএলসি ১.৬৬ পয়েন্ট।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আলোচ্য কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দামে বড় নেতিবাচক প্রভাব অন্যান্য কোম্পানির শেয়ারের দামেও পড়েছে। যে কারণে আজ শেয়ারবাজারে বড় পতন হয়েছে।