বিএসসি এমআরজি লিমিটেড’ নামে একটি প্রাইভেট কোম্পানির ৪৫ শতাংশ শেয়ার পেয়েছে বিবিধ খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি)। বর্তমানে নতুন এ কোম্পানিটিতে বিএসসির কোনো আর্থিক বিনিয়োগ নেই। সোমবার (৮ এপ্রিল) স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে কোম্পানিটি।
তথ্যানুসারে, এ বছরের ২২ জানুয়ারি রেজিস্ট্রার অফ জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসে (আরজেএসসি) বিএসসি এমআরজি লিমিটেডের নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। কোম্পানিটি কার্যক্রম শুরুর পর্যায়ে রয়েছে। প্রাইভেট এ কোম্পানিটি তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিএসসিকে ৪ শতাংশ শেয়ার দিয়েছে। যদিও এজন্য বিএসসিকে কোনো আর্থিক বিনিয়োগ করতে হয়নি। মূলত বিএসসির নাম ব্যবহার করার বিপরীতে এ শেয়ার দেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। নতুন এ কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হয়ে সামুদ্রিক জাহাজ পরিবহন ব্যবসা পরিধি আরো বাড়াতে চায় বিএসসি।
চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির বিএসসির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ৫৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮ টাকা ৪১ পয়সা। সে হিসাবে কোম্পানিটির ২১ দশমিক ৬৪ শতাংশ ইপিএস কমেছে। গত ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯০ টাকা ৭৯ পয়সায়। বৈশ্বিক জাহাজ ভাড়া কমে যাওয়ায় ইপিএস কমেছে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।
সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে বিএসসি। নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৬ টাকা ১৫ পয়সা। যেখানে এর আগের হিসাব বছরে ইপিএস ছিল ১৪ টাকা ৮০ পয়সা। এ বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮৬ টাকা ৬৭ পয়সায়, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৭২ টাকা ৫২ পয়সা।
এর আগের ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে বিএসসি। এর আগের ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে বিএসসি। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৭২ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২ টাকা ৭২ পয়সা। ২০১৯-২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। তার আগের হিসাব বছরের জন্যও ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় তারা। এর আগে ২০১৭-১৮ ও ২০১৬-১৭ হিসাব বছরের জন্য যথাক্রমে ৬ শতাংশ ও ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।
১৯৭৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১৫২ কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৭০৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১৫ কোটি ২৫ লাখ ৩৫ হাজার ৪০টি। এর মধ্যে ৫২ দশমিক ১০ শতাংশ সরকার, উদ্যোক্তা পরিচালক ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ১৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ ও বাকি ২৪ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
ডিএসইতে রোববার বিএসসির শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ১১৫ টাকা ৬০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ১০৭ টাকা ও ১৩৮ টাকা ৮০ পয়সা।