ব্যস্ত জীবনযাত্রায় অনেকেই সঠিক সময়ে খাবার গ্রহণ করেন না। কেউ সকালের নাশতা এড়িয়ে যান, দুপুরে খাবার সময় মতো খান না আর বাসায় ফিরে অনেক রাতে খান। এ ধরনের অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন পদ্ধতি এবং দুর্বল খাদ্যাভ্যাসের কারণে আজকাল অনেকেই বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন, বিশেষ করে যারা বেশি রাতে খাবার খান তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি।
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, দেরীতে রাতের খাবার খেলে ওজন বাড়তে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রাও বেড়ে যেতে পারে। রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-
ভালো ঘুম : তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খেলে ঘুমের গুণমান ব্যাপকভাবে উন্নত হয়। কারণ এতে ঘুম এবং খাবারের সময়ের মধ্যে অন্তত ২-৩ ঘন্টার ব্যবধান থাকে। এতে হজম প্রক্রিয়া ভালো হয় এবং পরিপাকতন্ত্রও প্রয়োজনীয় বিশ্রাম পায়। এর ফলে ঘুমও ভালো হয়।
ওজন কমায়: রাতে তাড়াতাড়ি খাবার খেলে বিপাকক্রিয়া উন্নত হয়, যা ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে।
হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখে : রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খেলে কার্ডিয়াক ফাংশনকে উন্নত করে। এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। আপনি যদি রাতের খাবারে বেশি কার্বোহাইড্রেট এবং লবণযুক্ত খাবার খান তাহলে এটি উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাড়াতাড়ি রাতের খাবার গ্রহণ শরীরকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দেয়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে : আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন, তাহলে এই স্বাস্থ্যকর অভ্যাসটি অন্ত্রের কার্যকারিতাকে নিয়মিত করবে। এই অভ্যাস বদহজম, পেট ফাঁপা এবং অন্যান্য হজমের সমস্যা কমায়।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমায় : বেশি রাতে খাবার খেলে গ্যাসের সমস্যা বাড়তে পারে। ঘুমানোর অন্তত তিন ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেলে অ্যাসিডিটির ঝুঁকি কমে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সুস্থ থাকতে রাতে কার্বোহাইড্রেটযুক্ত এবং মসলাদার খাবার কম খাওয়ার চেষ্টা করা উচিত। এই সময় খাদ্যতালিকায় মৌসুমি শাকসবজি, ফল, মসুর ডাল, স্যুপ রাখলে ভালো। সর্বোপরি রাতের খাবারের জন্য হালকা খাবার বেছে নেওয়াই স্বাস্থ্যকর।