বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘদিনের চাওয়া বাইব্যাক আইন প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সম্প্রতি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ও বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এ বিষয়ে ফলপ্রসূ বৈঠক করেছেন। বৈঠকে বাইব্যাক আইন কার্যকরে প্রতিমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন। ফলে শিগগিরই কার্যকর হচ্ছে বইব্যাক আইন।
এবিষয়ে রবিবার (২৪ মার্চ) বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম অর্থসংবাদকে বলেন, পুঁজিবাজার তথা বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সেই সঙ্গে দুর্বল কোম্পানির তালিকাভুক্তি বন্ধে বাইব্যাক আইন কার্যকর করা হচ্ছে। পৃথিবীর অনেক দেশে বাইব্যাক পদ্ধতির প্রচলন আছে। তবে দেশের বিদ্যমান কোম্পানি আইনে তা অনুপস্থিত। এই আইনে কোনো কোম্পানির শেয়ারের দর কমে গেলে কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে সেই শেয়ার ক্রয় করতে হবে। এটি কার্যকর হলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আর ভোগান্তি পোহাতে হবে না।
বিএসইসির এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা অর্থসংবাদকে বলেন, বাইব্যাক আইন প্রণয়নে কাজ শুরু হয়েছে। আমরা কোম্পানি আইনে শুধুমাত্র বাইব্যাক করার বিষয়টি সংযুক্ত করতে চাই। আর কখন ও কিভাবে বাইব্যাক করতে হবে, তা বিএসইসির আইনে ঠিক করা হবে।
সূত্রম তে, এই আইন প্রণয়নের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে বড় পরিবর্তন ঘটবে বলে মনে করেন বিনিয়োগকারীরা। এর মাধ্যমে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে। এছাড়া কোন কোম্পানি মিথ্যা তথ্য দিয়ে শেয়ারবাজারে আসলে, পরবর্তীতে বিপদে পড়বে।
উল্লেখ্য, বাইব্যাক বা শেয়ার পুনঃক্রয় হচ্ছে একটি বিধান। যার আওতায় কোনো কোম্পানির শেয়ার মূল্য যদি অফার মূল্যের (প্রিমিয়ামসহ) নিচে নেমে যায় বা কমে যায় তবে ওই কোম্পানি কর্তৃক স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে শেয়ার পুনঃক্রয় করতে বাধ্য থাকবেন।