ঋতু পরিবর্তনের সময় শরীর খারাপ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এই সময় এমন কিছু খাওয়া উচিত যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই তালিকায় যোগ করতে পারেন এলাচ। নিয়মিত এই মসলাটি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই বাড়ে। এছাড়াও এলাচের আরও বেশ কিছু গুণ রয়েছে। সেই উপকার পেতে হলে নিয়মিত অল্প এলাচ চিবাতে পারেন। এলাচ খেলে আরও যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-
সুগার কমায়: এলাচ রক্তের গ্লুকোজ অর্থাৎ শর্করার পরিমাণকে কমাতে সাহায্য করে। অন্যদিকে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়ায়। ইনসুলিন রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এ কারণে এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে: গবেষণায় দেখা গেছে, রক্তচাপ কমাতে উপকারী এলাচ। নিয়মিত অর্ধেক চা চামচ এলাচ খেলেই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা অনেকটা দূর হয়।
খাবার হজম করায়: এলাচ ভোলাটাইল অয়েলে সমৃদ্ধ একটি মসলা। এই বিশেষ তেল পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। খাবার হজম করে তার থেকে পুষ্টি শোষণ করতে সাহায্য করে। হজমের পথ্য হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই এলাচ খাওয়ার চল রয়েছে।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করে : ব্যাকটেরিয়ার কারণে মুখের মধ্য়ে দুর্গন্ধ হয়। এলাচে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে। যাদের মুখে দুর্গন্ধ হয় তারা নিয়মিত এলাচ খেতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় উপকারী : গর্ভাবস্থায় হবু মায়েদের অনেকেই পেটের সমস্যায় ভোগেন। এটা খুবই স্বাভাবিক। সেই সমস্যা কমাতে পারে এলাচ। নিয়মিত এটি খেলে পেটের সমস্যায় আর যন্ত্রণা পেতে হয় না।
পেটের আলসারে উপকারী: পাকস্থলীর ভিতর একধরনের মিউকাস পর্দা থাকে। এই পর্দাটি ক্ষয়ে গেলে প্রদাহের অনুভূতি তৈরি করে। আলসার হলে অল্প এলাচদানা চিবোতে পারেন। এতে থাকা ভোলাটাইল অয়েল প্রদাহ থেকে রেহাই দেয়।
ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যা কমায় : ফুসফুসের ট্রাকিয়া ও ব্রঙ্কি নামের দুটি অংশ রয়েছে। এখানে জ্বালা ও মিউকাস জমে গেলে তাকে ব্রঙ্কাইটিস বলে। এলাচ এই প্রদাহ থেকে মুক্তি দেয়। এমনকি ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যা থেকেও রেহাই দেয়।
কতটা খাবেন এলাচ ?
উপকারিতা আছে বলেই কোনো খাবার খুব বেশি খাওয়া যায় না। ঠিক তেমনই এলাচ পরিমাণ মেপে খেতে হবে। রোজ ৩-৪ গ্রামের বেশি এলাচ না খাওয়াই ভালো। এতে শরীর উপকার পাবে।