অনেকে মনে করেন, ওজন কমানো আর পেটের মেদ ঝরানো বুঝি একই। আসলে তা নয়। পেটের মেদ ঝরাতে হলে নিতে হয় বাড়তি যত্ন। কী করলে মেদ কমবে, কী করলে বেড়ে যাওয়ার ভয় তা-ও জানা থাকা জরুরি। এখন সচেতন মানুষেরা নিজেদের প্রতি আরও বেশি যত্নশীল।
পেটের মেদ এমন এক সমস্যা যা নিয়ে ভুগে থাকেন অনেক চিকন মানুষও। পুরো শরীরে কোথাও বাড়তি মাংস না থাকলেও পেটের কাছে গোল হয়ে থাকে ভুঁড়ি। চর্বির আস্তরণ জমে সৌন্দর্যের বারোটা বাজায়। শুধু যে সৌন্দর্য নষ্ট করে তা-ই নয়, ডেকে আনে নানা অসুখও।
শরীরের মেদ কমানোর প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য ডায়েটে স্বাস্থ্যকর খাবার ও পানীয় রাখতে হবে। কয়েকটি পানীয় রয়েছে যেগুলো আপনার পেটের মেদ দ্রুত কমাতে সাহায্য করবে। আর এসব পানীয় আমাদের খুবই পরিচিত। সহজেই তৈরি করা সম্ভব। চলুন জেনে নেয়া যাক-
লেবুপানি
লেবুর গুণের কথা কে না জানে! এই লেবুর রস হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে সকালবেলা খেলে কী হয় জানেন? পেটের চর্বি গলতে শুরু করে দ্রুত। লেবুতে আছে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও পেকটিন ফাইবার যা পেটে জমে থাকা ফ্যাটকে গলিয়ে দেয়। এ গ্লাস হালকা গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে পান করুন। উপকার মিলবে।
গ্রিন টি
গ্রিন টি আমাদের দেশে দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এই পানীয়তে আছে ক্যাটেচিন্স নামক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা ফ্যাট বার্ন করে এবং মেটাবলিজম বাড়ায়। চিনি ছাড়া পান করলে বেশি উপকার পাবেন। মেদ কমাতে গেলে সারা দিনে অন্তত ২-৪ কাপ গ্রিন টি পান করতে হবে।
জিরা ভেজানো পানি
জিরা প্রায় সবার রান্নাঘরেই থাকে। এই মশলা শুধু যে খাবারের স্বাদ-গন্ধ বাড়াতে কাজে লাগে তা কিন্তু নয়। বরং এটি নানাভাবে আমাদের শরীরের উপকার করে থাকে। জিরা ভেজানো পানি পান করলে তা হজমশক্তি বাড়িয়ে দেয়। এটি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে এবং অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত রাখে। একগ্লাস পানিতে এক চা চামচ জিরা সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সেই পানি ছেঁকে নিয়ে খালি পেটে পান করুন। উপকার মিলবে দ্রুত।
অ্যালোভেরার রস
অ্যালোভেরা ভীষণ আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। এতে প্রচুর খনিজ আর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি হজম ক্ষমতা বাড়ায় ও ওজন কমাতে সাহায্য করে। পানীয়ের স্বাদ বাড়াতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।