শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ফার্মা ও রসায়ন খাতের ৩৪টি কোম্পানির মধ্যে চলতি অর্থবছরের দুই প্রান্তিকের বা ৬ মাসের (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ২৬টি কোম্পানি। এতে দেখা যায়, ১১টি কোম্পানির শেয়ারপ্রতি কার্যকরি নগদ প্রবাহ কমেছে। তার মধ্যে ক্যাশ ফ্লোর অবনতি হয়েছে ৯টি কোম্পানির এবং লোকসান বেড়েছে ২টি কোম্পানির। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) ক্যাশ ফ্লো কমে যাওয়া বা অবনতি হওয়া কোম্পানিগুলো হলো- এসিআই ফার্মা, একমি ল্যাবরেটরিজ, এমবি ফার্মা, বিকন ফার্মা, ইবনে সিনা, ইমাম বাটন, ওরিয়ন ইনফিউশন, ওরিয়ন ফার্মা, সিলকো ফার্মা, সিলভা ফার্মা এবং ওয়াটার কেমিক্যাল লিমিটেড।
এসিআই ফার্মা
অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে মাইনাস ৮৮ টাকা ৮৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল মাইনাস ৮০ টাকা ৩৬ পয়সা। বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লোর অবনতি হয়েছে ৮ টাকা ৪৮ পয়সা।
একমি ল্যাবরেটরিজ
অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ০২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৬ টাকা ০৯ পয়সা। বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো কমেছে ১ টাকা ৭০ পয়সা।
এমবি ফার্মা
অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে মাইনাস ৫ টাকা ৬১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৭ টাকা ৬৯ পয়সা। বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো কমেছে ১৩ টাকা ৩০ পয়সা।
বিকন ফার্মা
অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে মাইনাস ২ টাকা ৩৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১ টাকা ১৯ পয়সা। বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো কমেছে ৩ টাকা ৫৩ পয়সা।
ইবনে সিনা
অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ০৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১৩ টাকা ৯২ পয়সা। বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো কমেছে ১ টাকা ৮৭ পয়সা।
ইমাম বাটন
অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে মাইনাস ১ টাকা ২৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল মাইনাস ০১ পয়সা। বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লোর অবনতি হয়েছে ১ টাকা ২৫ পয়সা।
ওরিয়ন ইনফিউশন
অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৩৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৪০ পয়সা। বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো কমেছে ০২ পয়সা।
ওরিয়ন ফার্মা
অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৬৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৫ টাকা ৬২ পয়সা। বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো কমেছে ২ টাকা ৯০ পয়সা।
সিলকো ফার্মা
অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৩৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৮২ পয়সা। বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো কমেছে ৪৫ পয়সা।
সিলভা ফার্মা
অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৫৪ পয়সা। বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো কমেছে ৩৭ পয়সা।
ওয়াটা কেমিক্যাল
অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৯২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১০ টাকা ৫৭ পয়সা। বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো কমেছে ৬ টাকা ৬৫ পয়সা।