চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ৫১৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে। যা আগের বছরের একই মাসের চেয়ে বেড়েছে প্রায় ১২.০৪ শতাংশ। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৪৬৩ কোটি ডলারের রপ্তানি আয় হয়।
সোমবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ পরিসংখ্যানের তথ্য বিশ্লেষণে এই চিত্র পাওয়া গেছে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডলার সংকটের মধ্যেও আশা জাগাচ্ছে রপ্তানি আয়। তারা বলছেন, এই ধারা অব্যাহত থাকলে ডলার সংকট নিরসনে অনেক সহায়তা মিলবে।
চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি নিয়ে টানা তিন মাস ৫০০ কোটি ডলার ছাড়াল রপ্তানি। গত অর্থবছরেও একই ধরনের মাইলফলক অর্জন করেছিল বাংলাদেশ।
রপ্তানি আয়ের এই চাঙ্গাভাব দেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের ওপর চাপ কমানো এবং ডলার বাজারের অস্থিতিশীলতা দূর করায় সহায়ক হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) তিন হাজার ৮৪৫ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই আয় তার আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩.৭১ শতাংশ বেশি।
তৈরি পোশাক ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে অন্য বড় খাত যেমন হিমায়িত খাদ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল ও প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি কমেছে।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে তিন হাজার ২৮৬ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪.৭৭ শতাংশ বেশি।
জানা গেছে, গত অর্থবছরের নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত টানা তিন মাস ৫০০ কোটি ডলারের বেশি রপ্তানির রেকর্ড করে বাংলাদেশ।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৫৭২ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়, যা এই পর্যন্ত এক মাসে হওয়া সর্বোচ্চ রপ্তানি। তার আগে ডিসেম্বরে ৫৩১ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করা হয়।