গত এক যুগে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে দুই লাখ ৩৮ হাজার ৫৭৯ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম রুমানা আলী। রবিবার (৩ মার্চ) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে তিনি এ তথ্য জানান।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, গত এক যুগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য প্রধান শিক্ষক পাঁচ হাজার ২০৫ জন এবং সহকারী শিক্ষক দুই লাখ ৩৩ হাজার ৩৭৪ জনসহ দুই লাখ ৩৮ হাজার ৫৭৯ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ সময় বেসরকারি ও রেজিস্ট্রার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক লাখ চার হাজার ৮৭৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি সরকারীকরণ হয়েছে।
সরকারি দলের সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহকে জাতীয়করণের ঘোষণার পর নতুন কোনো বিদ্যালয় রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়নি। বর্তমানে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিবন্ধন নীতিমালা-২০২৩ প্রণয়ন করা হয়েছে। নীতিমালার আলোকে সকল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে নিবন্ধনের আওতায় আনার কাজ চলছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী জানান, বিদ্যালয়বিহীন এলাকায় এক হাজার নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের কোনো প্রকল্প সরকার নেয়নি।
তার পরিবর্তে ‘বিদ্যালয়বিহীন এলাকায় ২০০টি নতুন সরকারি প্রাইমারি স্কুল প্রকল্প’র জন্য মাঠ পর্যায় থেকে সুপারিশসহ সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পাওয়া গেলে তা বিবেচনার সুযোগ রয়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি
আওয়ামী লীগের সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের লিখিত জবাবে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জানান, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১-এর আলোকে কাম্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা, পাসের হার, প্রাপ্যতা ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতার ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত করা হয়ে থাকে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা একটি চলমান প্রক্রিয়া। এমপিওভুক্ত করার কাজটি বর্তমানে ডিজিটাল পদ্ধতিতে অটোমেশনের মাধ্যমে করা হচ্ছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সময়ে সময়ে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এমপিওভুক্ত করা হয়ে থাকে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মহিবুল হাসান চৌধুরী জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বর্তমানে এডিপিতে ৫৮টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।