সকালে খেতে হয় রাজার মতো, দুপুরে প্রজার মতো আর রাতের খাবার হবে দরিদ্রের মতো। এ প্রবাদ থেকেই বোঝা যায় রাতের খাবার হওয়া উচিত দিনের সবচেয়ে সাধারণ খাবার। এতে শরীর ভালো থাকবে যেমন তেমনি সুস্থতাও সঙ্গী হবে। রাতে খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মেনে চললে সুস্থতাকে মুঠোবন্দি করা সম্ভব।
জেনে নিন সেসব।
অল্প খাবার পাতে নিন
রাতে শরীর আপনাতেই ঘুমের জন্য প্রস্তুত হয়ে পড়ে। তাই এ সময় অল্প খাবারে নৈশভোজ সারুন। এতেই সুস্থ থাকার পথ প্রশস্ত হবে।
শুধু তা-ই নয়, রাতে ভারী খাবার খাওয়ার পরিবর্তে হালকা এবং সহজে হজম হয় এমন খাবার খান। এতে ঘুমের ব্যাঘাতও ঘটবে না আবার শরীরও সুস্থ থাকবে। ধীরে ধীরে চিবিয়ে খান চটজলদি খাবার খেলে তা ঠিকমতো হজম হতে চায় না। এ কারণে গ্যাস, এসিডিটি এবং পেট ফাঁপার মতো একাধিক সমস্যা তৈরি হয়।
তাই রাতের খাবার খাওয়ার সময় একটু সময় নিয়ে খান। ভালোভাবে চিবিয়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করলে এসব সমস্যাকে বিদায় জানানো যাবে। বেশি থাকুক শাক-সবজি শাক ও সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ফাইবার। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে পাতে এসব প্রাকৃতিক খাবার রাখতেই হবে। বিশেষত, রাতের বেলায় এসব খাবার খেলে বদহজম এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের ফাঁদও এড়ানো যাবে। তাই সুস্থ থাকতে শাক-সবজির সঙ্গে দ্রুত বন্ধুত্ব করে নিন।
শস্যজাতীয় খাবারকে প্রাধান্য দিন
হোল গ্রেইন খাবারে শস্যের সমস্ত ভাগ মজুদ থাকে। তাই তো যেকোনো রিফাইনড শস্যের তুলনায় হোল গ্রেইন অত্যন্ত উপকারী। এমনকি এসব খাবার নিয়মিত খেলে সুগার, প্রেশার, কোলেস্টেরলসহ একাধিক রোগকে বিদায় জানানো যাবে। সুতরাং সুস্থ থাকার ইচ্ছা থাকলে রাতে লাল আটার রুটি, ঢেঁকিছাঁটা চালের ভাত ইত্যাদি খেতে পারেন।
ঘুমানোর অন্তত দুই ঘণ্টা আগে নৈশভোজ
চিকিৎসকদের মতে, সূর্যাস্তের পর খুব বেশি দেরি না করে নৈশভোজ সেরে ফেলা বুদ্ধিমানের কাজ। এতে খাবার হজম হওয়ার সময় পাবে। অপরদিকে বেশি রাত করে খেলে খাবার হজম হতে চায় না। নানা রকম সমস্যাও দেখা দেয়। তাই ঘুমানোর অন্তত দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
সূত্র : হেলথলাইন