দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর একাংশকে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
নির্দেশনা অনুসারে, কিছু শর্ত লংঘন করলে বা তা পরিপালনে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে সরাসরি জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করবে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ। এছাড়া সিকিউরিটিজ আইন লংঘনসহ আরও কিছু কারণে বিএসইসির অনুমোদন সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা যাবে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এ সংক্রান্ত নির্দেশনাটি জারি করেছে।
বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
নির্দেশনা অনুসারে, কোনো কোম্পানি তালিকাভুক্তি অথবা সর্বশেষ লভ্যাংশ ঘোষণার পর টানা দুই বছর লভ্যাংশ ঘোষণা করতে ব্যর্থ হলে সে কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করবে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ।
যদি কোনো কোম্পানি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বার্ষিক সাধারণ সভা করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ওই কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করতে হবে। তবে কোনো আইনগত ইস্যু থাকলে তার ক্ষেত্রে এই শর্ত শিথিল হবে। তবে সর্বোচ্চ ২ বছরের জন্য এটা শিথিল করা যাবে।
বিএমআরই ছাড়া অন্য কোনো কারণে কোনো কোম্পানির উৎপাদন টানা ৬ মাস বন্ধ থাকলে, সে কোম্পানিকেও জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করবে স্টক এক্সচেঞ্জ। তবে যদি কোম্পানি বিশেষ কোনো কারণে উৎপাদন বন্ধ করতে বাধ্য হয়, সে ক্ষেত্রে এই শর্ত শিথিল থাকবে।
টানা দুই বছর কোনো কোম্পানি নিট লোকসান করলে অথবা ঋণাত্মক ক্যাশ ফ্লো থাকলে সে কোম্পানি জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত হবে।
কোনো কোম্পানির পুঞ্জিভুত লোকসান তার পরিশোধিত মূলধনকে ছাড়িয়ে গেলে ওই কোম্পানি জেড ক্যাটাগরিতে স্থান্তর হবে। তবে যদি কোনো কোম্পানি পুঁঞ্জিভুত লোকসান সত্ত্বেও নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ (এজিএম) করে এবং সর্বশেষ বছরে নিট মুনাফা ও লভ্যাংশ ঘোষণা করে, তাহলে ওই কোম্পানির ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না।
এছাড়া কোনো কোম্পানি সিকিউরিটিজ আইনের কোনো ধারা লংঘনের কারণে স্টক এক্সচেঞ্জ যদি মনে করে যে ওই কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা প্রয়োজন তাহলে বিএসইসির অনুমোদনক্রমে তা করতে পারবে।