জাতীয় নির্বাচনকেন্দ্রীক রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় বড় দরপতন হয়েছে পাকিস্তানের পুঁজিবাজারে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে লেনদেনের শুরুতেই এ পতন ঘটে। তবে পরবর্তীতে সূচকের কিছুটা পুনরুদ্ধার হয়।
শুক্রবার সকালে লেনদেন শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্যসূচক কেএসই-১০০ আগের দিনের চেয়ে ২ হাজার ২৭৮ পয়েন্ট বা প্রায় ২ শতাংশ কমে যায়। পরে সূচকের কিছুটা পুনরুদ্ধার হয়, সূচক উঠে আসে ৬২ হাজার ৪২৩ দশমিক ৬০ পয়েন্টে। গতকাল দিনশেষে এই সূচকের অবস্থান ছিল ৬৪ হাজার ১৪৩ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট।
গতকাল পাকিস্তানে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই মুহূর্তে পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির প্রধান ইমরান খানকে ছাড়াই এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।একাধিক মামলায় শাস্তি পাওয়ার কারণে তাকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। জনগণের একটি বড় অংশের বিশ্বাস সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে ইমরানের বিরুদ্ধে এসব মামলা দায়ের করা হয়। ইমরান ও তার দল পিটিআইকে ঠেকানোর লক্ষ্যে সেনাবাহিনী নানা আয়োজন করে। সেনাবাহিনী মূলত নওয়াজ শরীফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান মুসলিম লীগকে (পিএমএল-এন) পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে ক্ষমতায় আনতে চায়।
পাকিস্তানে সাধারণত যে দলের উপর সেনাবাহিনীর সমর্থন থাকে, নির্বাচনে সে দল ব্যাপকভাবে বিজয়ী হয়।কিন্তু শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ফলাফলের যে আভাস পাওয়া গেছে তাতে এতদিনের ধারা বজায় থাকবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। পিটিআই ক্ষমতায় না আসতে পারলেও শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে সংসদে আসবে- এটা মোটামুটি নিশ্চিত। তাছাড়া সকাল পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে দেশটিতে একটি ঝুলন্ত পার্লামেন্টের আভাস মিলছে। তখন পর্যন্ত ঘোষিত ফল অনুসারে পিএমএল-এন ১৭টি, পিটিআই ১৪টি ও পিপিপি ১২টি আসনে জয় পেয়েছে। এতে আগামী পার্লামেন্ট একটি ঝুলন্ত পার্লামেন্ট হওয়ার আশংকা দেখা যাচ্ছে। বাজারে এসব আশংকারই প্রতিফলন ঘটেছে।