ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর জেনেও অনেকেই এই বদঅভ্যাসে লাগাম টানতে পারেন না। ফলে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়, এমনকি ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অন্যতম শর্ত হিসেবে প্রথমেই ধূমপান ছাড়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। ধূমপানের কুপ্রভাব নিয়ে বারবার আলোচনা হয়। তবে এটি মাসখানেকের জন্যও ছেড়ে দেওয়া গেলে শরীরের কতটা উপকার হতে পারে, সেটা অনেকেরই অজানা।
ধূমপান ছাড়া যতটা জরুরি, ততটাই কষ্টকর। তবে একবার ছেড়ে দিতে পারলে শারীরিক ক্ষতির ঝুঁকি কমানো সম্ভব। ধীরে ধীরে চাঙ্গা অনুভব করবে শরীরও।
পালমোনজিস্টদের মতে, ধূমপান ছাড়ার কয়েক দিনের মধ্যেই ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভালো হতে শুরু করে। ক্ষতিকারণ টক্সিন বেরিয়ে যেতে থাকে, এয়ারওয়েও পরিষ্কার হতে থাকে। শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া অনেকাংশে সহজতর হয়ে আসে।
ধূমপান ছাড়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শরীর থেকে ক্ষতিকারক দূষিত পদার্থ বের হওয়া শুরু হয়ে যায়। চিকিৎসকদের মতে, এর ফলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও অনেকটাই কমে যায়।
একই সঙ্গে ধূমপান ছাড়ার পর দেহে রক্ত চলাচলও সহজতর হতে শুরু করে। এটিও নানা রকম অসুস্থতার ঝুঁকি কমানোর অন্যতম শর্ত।
নিকোটিনের কবল থেকে মুক্তি মিললে চিন্তা-ভাবনায় স্পষ্টতা, সহজে মনোযোগ ও কম মুড সুইং (ঘন ঘন মেজাজে বদল) হবে। এক কথায় বললে, ধূমপান ছাড়ার কয়েক দিন পর থেকে বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই মুডের ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
এমনকি ঘুমের স্বাভাবিক ছন্দও ফিরে আসবে। ফলে দিনের বেলাও তাই আগের তুলনায় বেশি তরতাজা ও চাঙ্গা অনুভব করা যায়।
একটি বিষয় মনে রাখবেন, ধূমপান ছাড়া কঠিন হলেও হাল ছাড়লে চলবে না। আর না হলে কঠিন রোগ থেকে নিস্তার মিলবে না।
সূত্র: এবিপি লাইভ