বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখার কারণে পুঁজিবাজার একটি অবস্থানে উঠে এসেছে। এরসঙ্গে তাল মিলিয়ে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর মধ্যেও সুশাসন প্রতিষ্ঠা জোরদার করা দরকার।
রোববার (১৬ আগস্ট) ব্রোকারদের শীর্ষ সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) এর সঙ্গে ব্রোকারেজ হাউজের প্রতিনিধিদের এক ভার্চুয়াল আলোচনায় এমনটি উঠে এসেছে।
ডিবিএ সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন বলেন, মহামারির মধ্যে পুঁজিবাজার খাদের কিনারে চল গিয়েছিল। এই অবস্থায় সমস্যা ও সমাধান নিয়ে গত মে মাসে ডিবিএ ব্রোকার কমিউনিটির সঙ্গে আলোচনা করে। এরমধ্যে জুন ও জুলাই মাস সংকটের মধ্য দিয়ে গেলেও আগস্ট মাসে বাজার একটি অবস্থানে এসেছে। এই অবস্থানে আসার পেছনে রয়েছে বিএসইসির সুশাসনে জোরদার।
তিনি বলেন, বিএসইসির সঙ্গে সঙ্গে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর মধ্যে নিজেরাই সুশাসন জোরদার করা নিয়ে আজকের সভায় আলোচনা হয়েছে। যাতে ব্রোকারেজ হাউজে কোন ঘাটতি না থাকে। এর আগে ব্রোকারেজ হাউজের সুশাসনের ঘাটতির কারনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরী হয়েছে। তবে আগামিতে আমরা সেই সংকট দেখতে চাই না। তাই সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আমাদেরকেও ভূমিকা রাখতে হবে।
আজকের সভায় লেনদেন সহজলভ্য করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান ডিবিএ সভাপতি। তিনি বলেন, বিদম্যান তথ্যপ্রযুক্তিতে সব জায়গা থেকে বিনিয়োগকারীদের লেনদেনে কিছুটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এটা ওয়েববেজড করতে পারলে বিনিয়োগকারীরা যেখান-সেখান থেকে লেনদেন করতে পারবে। কমিশনও তথ্য প্রযুক্তি খাতে উন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছে। এছাড়া ডিএসইও এ নিয়ে কাজ করছে।
লেনদেন সহজলভ্য করতে পারলে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়বে বলে মনে করেন শরীফ আনোয়ার হোসেন। এতে করে ব্রোকারেজ হাউজ ও ডিএসইর আয় বাড়বে। যাতে করে ডিএসই শেয়ারহোল্ডারদেরকে বেশি করে লভ্যাংশ দিতে পারবে।
তিনি বলেন, বিএসইসির নতুন নেতৃত্ব কথার চেয়ে কাজ বেশি করছে। যার ইতিবাচক প্রভাব পুঁজিবাজারে পড়ছে। অনেকদিন ধরে আলোচনা হওয়া
জেড’ ক্যাটাগরি সমাধানেও এই কমিশন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আশা করা যাচ্ছে দ্রুত বাস্তবায়ন হবে।