1. [email protected] : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারসংবাদ.কম : শেয়ারসংবাদ.কম
  3. [email protected] : Zahir Islam : Zahir Islam
  4. [email protected] : muzahid : muzahid
  5. [email protected] : nayan : nayan
  6. [email protected] : khadija : khadija khadija
সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২৪ পূর্বাহ্ন

টিনেজ অর্থনীতিকে ফিডিংয়ের প্রধান উৎস হবে শক্তিশালী শেয়ারবাজার

  • আপডেট সময় : রবিবার, ৪ জুন, ২০২৩

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, আমাদের মতো বিকাশমান অর্থনীতিতে মূলধনের যোগান দিতে পারে শক্তিশালী শেয়ারবাজার। তাই বাজেটে ক্যাপিটাল মার্কেট অবহেলিত হওয়া ঠিক নয়।

রোববার (০৪ জুন) ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) এর যৌথ উদ্যোগে সিএমজেএফ অডিটরিয়ামে বাজেট পরবর্তী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার পরও বাজেটে শেয়ারবাজার নিয়ে নতুন কোনো আলোচনা না থাকায় হতাশা ব্যাক্ত করে আগের দাবিগুলোই পুনরায় তুলে ধরেন বক্তারা। তারা বলেন, বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য নতুন কোন কিছু আরোপ করা না হলেও কোন প্রণোদনাও দেওয়া হয়নি। বিশেষ করে বাজেটে শেয়ারবাজার সম্পর্কে কোন আলোচনা না থাকায় আমাদের মনে হচ্ছে এখাতটি সরকারের কাছে একেবারেই অবহেলিত। এতে বিনিয়োগকারীরাসহ খাত সংশ্লিষ্ট সবাই হতাশ হয়েছে।

সিএমজেএফ সাধারণ সম্পাদক আবু আলীর সঞ্চালনায় বাজেট ২০২৩-২৪: প্রেক্ষিত শেয়ারবাজার শীর্ষক সভায় সূচনা বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান।
সিএমজেএফ সভাপতি জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম, ডিবিএ প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি রোজারিও।

গত ১ জুন জাতীয় সংসদে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য সাত লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।

বাংলাদেশের অর্থনীতিকে টিনেজারের সঙ্গে তুলনা করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থনীতি অত্যন্ত শক্তিশালী, এতে কোন সন্দেহ নেই, আমাদের অর্থনীতি টিনেজার অর্থনীতি। টিনেজার হওয়ায় এর একটা উদ্যম রয়েছে, কিছুটা লাফা লাফিও রয়েছে, তাই এটিকে নজরদারি করতে হচ্ছে। টিনেজারদের যেমন মা বাবাকে নজরদারি করতে হয় তেমন আমাদেরকেও গ্রোয়িং অর্থনীতিকে নজরদারি করতে হচ্ছে, এটাকে ফিডিং করতে হচ্ছে। আর এই ফিডের প্রধান উপকরনই হচ্ছে ক্যাপিটাল।

যে যাই বলুক না কেন এটার (অর্থনীতির) দরকার মানি, মানি এবং মানি। মানি কয়েক রকম হয় তরল মানি, এসেট ও ফ্রোজেন মানি। এ সকল অর্জন হবে যদি আমরা ক্যাপিটাল মাকের্টে শক্তি বৃদ্ধি করতে পারি।

‘স্টক মার্কেট বাজেটে অবহেলিত এটি একটি বড় মেসেজ, আপনাদের পক্ষ থেকে আমি সংশ্লিষ্টদের কাছে এটি পৌঁছে দিব। এছাড়া আমি আপনাদের দাবিগুলো শুনলাম, এগুলো নিয়ে আমি সংশ্লিষ্টদের আলোচনা করবো।

মন্ত্রী বলেন, ‘‘ক্যাপিটাল মার্কেট ডমিনেন্ট বা ড্রাইভ দিতে পারে এমন অর্থনীতি আমাদের হয়নি। আমরা সেদিকে যাচ্ছি। উই আর অন দ্যা ওয়ে। উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশে যেতে হলে প্রয়োজন অর্থের। শেয়ারবাজার সেই অর্থায়নের উৎস হতে পারে। আমরা সেদিকে যাবো, শেয়ারবাজারের মাধ্যমে আমাদের অভিযাত্রা শুরু হবে।

মন্ত্রী পুঁজিবাজার বিষয়েক দাবিগুলোর সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, আমি মনে করি এখন আমরা যে পর্যায়ে পৌঁছেছি আমাদের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আগের তুলনায় অনেক দক্ষ, আমাদের বেটার টেকনোলজি, বেটার বিজনেস কমিউনিটি রয়েছে, তাই এখন আর অগ্রিম আয় কর (এআইটি) দরকার নেই, এটি তুলে দেযা যায়। সংশ্লিষ্ট অথরিটির সবার সঙ্গে আলোচনা করে এটি তুলে দিতে পারে।

দ্বৈত কর থাকা উচিৎ নয় বলেও তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, এটি কেন হবে, একজন মানুষ ট্যাক্সতো একবারই দিবে। এটির কারণ ব্যাখ্যা হওয়া করা উচিৎ, এর গভীরে গিয়ে দেখা উচিৎ। এছাড়া মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো শেয়ারবাজারে লিস্টেড হওয়া উচিৎ বলেও তিনি মনে করেন।

তিনি বলেন, এই আলোচনা সাত আট বছর আগেও শুনেছি। এখনও শুনছি, কিন্তু বছরের পর বছর তারা লিস্টেড না হয়েই ব্যবসা করছে আমাদের দেশে। এ বিষয়ে আমাদের আরো চাপ প্রয়োগ করতে হবে।

বর্তমানে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানীর কর হারের পার্থক্য ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। তবে ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, টেলিকম, ট্যোবাকো ইত্যাদি খাত এর আওতার বাহিরে। মাত্র ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ কর রেয়াত উদ্যোক্তাদেরকে তালিকাভুক্তি হতে উদ্ভুদ্ধ করছে না। তাই প্রস্তাবিত বাজেটে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানীর কর হারের পার্থক্য বাড়ানোর দাবি করেন বিএমবিএ সভাপতি ছায়েদুর রহমান।

এছাড়া তিনি, ডিভিডেন্ডের উপর দ্বৈত কর প্রত্যাহার, বন্ডের উপর অগ্রীম চূড়ান্ত কর হিসেবে বিবেচনা করা, লেনদেন কর নামিয়ে ০.০১৫ শতাংশ (শূন্য দশমিক শুন্য ১৫) করা যা বর্তমানে ০.০৫ শতাংশ (শূণ্য দশমিক ০৫ শতাংশ) রয়েছে করার দাবিও জানান। বন্ড ও মিউচুয়াল ফান্ডকে শেয়ারবাজার এক্সপোজার এর বাহিরে রাখলে শেয়ারবাজার উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে তিনি দাবি জানান।

ছায়েদুর রহমান বলেন, শেয়ারবাজারের জন্য বাজেটের ভাল দিক হলো নতুন করে কোন কিছু আরোপ করা হয়নি। তবে হতাশার ও খারাপ দিক হলো পুঁজিবাজারের জন্য কোন প্রণোদনাই নেই, এমনকি পুঁজিবাজর সম্পর্কে কোন আলোচনাও নেই।’

তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রণোদনার দাবিগুলো বাস্তাবায়ন হলে সরকারের মোট কর আদায় হ্রাস পাবে না বরং বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে বহু প্রতিষ্ঠান আছে অনেক ভালো ব্যবসা করছে। অনেক শিল্পকারখানা আছে তালিকাভুক্ত না হয়ে বিভিন্নরূপ সুবিধা ভোগ করছে কর/ভ্যাট কম দিচ্ছে। সুবিধা পেলে তারা তালিকাভুক্তিতে উৎসাহ পাবে।’

পৃথিবীর অনেক দেশই অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে পুঁজিবাজার। কিন্তু সম্ভাবনা থাকা স্বত্বেও কেনো যেনো আমাদের দেশের শেয়ারবাজার সেই অবস্থানে যেতে পারছে না জানিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএইসই) এর চেয়ারম্যান ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু বলেন, ‘‘সরকারের একটু নীতি সহায়তা পেলে আমাদের শেয়ারবাজার অনেক কিছুই দিতে পারবে। এখানে সেই সম্ভাবনা রয়েছে। রাজস্ব আহরণ শেয়ারবাজার থেকেই বড় যোগান দিতে পারবে।’’

চট্টগ্রাম স্টক এক্সেচেঞ্জ (সিএসই) এর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম বলেন, ‘‘ আমরা আশা করেছিলাম বাজেটে পুঁজিবাজার বিষয়ে কিছু থাকবে। কিন্তু এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য কিছুই রাখা হয়নি। অথচ ব্যাংক দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগের জন্য নয়, দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগের জন্য শেয়ারবাজারের বিকল্প নেই।

রোজারিও বলেন, আমাদের অর্থনীতি এতোদিন গরিবদেশ হিসেবে কিছু সুযোগ সুবিধা পেয়েছে যখন আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নিত হবো তখন আমরা অনেক সুযোগ হারাবো। এজন্য দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করতে হলে আমাদের ছোট ছোট কোম্পানিগুলোর দিকে নজর দিতে হবে এবং তাদের পুঁজি সংগ্রহের সুযোগ দিতে হবে।

বাইরের দেশগুলোতে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হারে অনেক বেশি ব্যবধান থাকে। যা আমাদের দেশে অনেক কম। তাই এই ব্যবধান আরো বাড়ানোর দাবি জানান তিনি।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ