আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে শেয়ারবাজার নিয়ে একটি কথাও বলেননি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আজ বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অর্থমন্ত্রী আবারও প্রশ্ন এড়িয়ে যান। অর্থসচিব ফাতেমা ইসমাইলের কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনিও উত্তর দেননি।
তবে শেয়ারবাজার নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের কাছে জানতে চাইলে গভর্নর উত্তর দিলেন।
আজ শুক্রবার (২ জুন) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর বলেন, শেয়ারবাজার নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সেগুলো আমরা কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করেছি। গত এক বছরে তিন থেকে চারটি বড় সমস্যার সমাধান করেছি।
গভর্নর আরও বলেন, এই মুহূর্তে শেয়ারবাজারে যে পলিসি সাপোর্ট দেওয়া দরকার তা পর্যাপ্ত আছে। আমাদের শেয়ারবাজারে দুটি অংশ। একটি ইক্যুইটি মার্কেট এবং অন্যটি বন্ড মার্কট। এখন সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন বন্ড মার্কেট উন্নত করার কাজ করছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যেসব সাপোর্ট দেওয়া দরকার, তা আমরা দিয়ে আসছি।
শেয়ারবাজারের জন্য কোনো সুখবর নেই আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে। গতিহীন শেয়ারবাজারে গতি ফেরার জন্য বাজেটে কিছু ব্যবস্থা রাখা হতে পারে-এমন আশা করেছিলেন বিনিয়োগকারী ও স্টেকহোল্ডাররা। কিন্তু তাদের দীর্ঘশ্বাসই কেবল বেড়েছে। তবে বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য কোনো সুবিধা না থাকলেও, শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট কোনো খাতে সরাসরি কর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়নি-এটা ভেবে তারা কিছুটা সান্ত্বনা পেতে পারেন।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজেটে শেয়ারবাজারের বিষয়ে সরাসরি কিছু না থাকলেও পরোক্ষভাবে অনেক ইতিবাচক বিষয় রয়েছে। যেগুলো শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁদের অভিমত হলো, বাজেটে শেয়ারবাজার নিয়ে খারাপ কিছু নেই, এটাই শেয়ারবাজারে জন্য সবচেয়ে ভালো দিক।