পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান পিপলস পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের (পিএলএফএসএল) শেয়ার লেনদেন বন্ধের মেয়াদ আরও ১৫ দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। এর মাধ্যমে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকার মেয়াদ ২১ বার বাড়ল।
ডিএসইর নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পিপলস লিজিংয়ের শেয়ার লেনদেন ১৪ আগস্ট থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। নানা সংকটে থাকা পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের কার্যক্রম বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বন্ধের উদ্যোগ নেয়ার পর গত বছরের ১৪ জুলাই থেকে শেয়ারবাজারে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন বন্ধ করে দেয় ডিএসই।
এর আগে পিপলস লিজিং বন্ধের উদ্যোগ নেয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যে কারণে অনেক শেয়ারহোল্ডার পানির দরে কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করে দিতে চান। কিন্তু ক্রেতার অভাবে হতাশ হতে হয় তাদের। নামমাত্র অর্থে শেয়ার বিক্রির প্রস্তাব দিলেও ক্রেতার অভাবে শেয়ার বিক্রি করতে পারেনি শেয়ারহোল্ডাররা।
গত বছরের জুলাইয়ে অনিয়ম দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনায় চরম সংকটে থাকা পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস কার্যক্রম বন্ধের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংক কোম্পানিটি অবসায়নের উদ্যোগ নিলে শেয়ারহোল্ডাররা আতঙ্কে পানির দরে শেয়ার বিক্রি করে দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু দফায় দফায় দাম কামানোর পরও বিক্রেতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
এ পরিস্থিতিতে কারসাজির শঙ্কায় কোম্পানিটির শেয়ার শেয়াবাজারে লেনদেন বন্ধ করে দেয় ডিএসইর পর্ষদ। প্রথমিকভাবে ডিএসইর পর্ষদ সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, যতদিন কোম্পানিটির অবসায়নের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসবে ততদিন লেনদেন বন্ধ থাকবে। তবে এরপর ১৫ দিন করে শেয়ার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ১৫ দিন করে ডিএসই কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন বন্ধ রাখছে এবং মেয়াদ শেষ হলে আবারও ১৫ দিন সময় বাড়ানো হচ্ছে।
পিপলস লিজিংয়ের শেয়ার লেনদেন বন্ধের সময় বাড়ানোর চিত্র
প্রথম দফায় ১৩ থেকে ২৭ আগস্ট, দ্বিতীয় দফায় ২৮ আগস্ট থেকে ১১ সেপ্টেম্বর, তৃতীয় দফায় ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর, চতুর্থ দফায় ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ অক্টোবর, পঞ্চম দফায় ১৩ অক্টোবর থেকে থেকে ২৭ অক্টোবর, ষষ্ঠ দফায় ২৮ অক্টোবর থেকে থেকে ১১ নভেম্বর, সপ্তম দফায় ১১ নভেম্বর থেকে ২৫ নভেম্বর, অষ্টম দফায় ২৬ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর, নবম দফায় ১১ ডিসেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বর এবং দশম দফায় ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন বন্ধ রাখা হয়।
এরপর এগারো দফায় চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি থেকে থেকে ২৬ জানুয়ারি, ১২ দফায় ২৭ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি, ১৩ দফায় ১২ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৪ দফায় ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ, ১৫ দফায় ১৩ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ, ১৬ দফায় ৩১ মে থেকে ১৪ জুন, ১৭ দফায় ১৫ জুন থেকে ২৯ জুন, ১৮ দফায় ৩০ জুন থেকে ১৪ জুলাই, ১৯ দফায় ১৫ জুলাই থেকে ২০ জুলাই এবং ২০ দফায় ৩০ জুলাই থেকে ১৩