1. [email protected] : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারসংবাদ.কম : শেয়ারসংবাদ.কম
  3. [email protected] : Zahir Islam : Zahir Islam
  4. [email protected] : muzahid : muzahid
  5. [email protected] : nayan : nayan
  6. [email protected] : khadija : khadija khadija
রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩১ পূর্বাহ্ন

দুই খাতের মুনাফায় পতন

  • আপডেট সময় : রবিবার, ৭ মে, ২০২৩
share-neg

গেল জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত অধিকাংশ কোম্পানির মুনাফা কমেছে। বিশেষত উৎপাদন ও সেবা খাতের কোম্পানিগুলোর হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী বেশির ভাগের মুনাফা আগের হিসাব বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে।

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত উৎপাদন ও সেবা খাতের তালিকাভুক্ত ১৮৫ কোম্পানির প্রকাশিত শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএসের তথ্য বিশ্লেষণে এমন চিত্র মিলেছে। এর মধ্যে ১৩৪টি মুনাফা করেছে ঠিকই; কিন্তু আগের হিসাব বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১৬টিরই মুনাফা কমেছে।

বর্তমানে উৎপাদন ও সেবা খাতের ২৪১ কোম্পানি ডিএসইতে তালিকাভুক্ত। এর মধ্যে শনিবার পর্যন্ত ৫১ কোম্পানি নির্ধারিত সময়ে গেল প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। মুনাফা কমার কারণ ব্যাখ্যায় অনেক কোম্পানি বলেছে, টাকার বিপরীতে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি এবং এর ফলে কাঁচামাল কেনার খরচ বেড়ে পরিচালন ব্যয় বেড়েছে। ফলে স্বাভাবিক কারণে মুনাফাও কমেছে। জ্বালানি, বিশেষত গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিও মুনাফার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে জানিয়েছে বেশ কিছু কোম্পানি।

শেয়ারবাজার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, অর্থনৈতিক টানাপোড়েন এবং ডলার সংকট সত্ত্বেও একবারে এত কোম্পানির আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ার কথা নয়। কারণ এর মধ্যেও কিছু কোম্পানি ভালো করেছে। প্রশ্ন হলো– তারা কী করে ভালো করল। আসলে এমন অনেক কোম্পানি রয়েছে যার উদ্যোক্তারা শেয়ারহোল্ডারদের ভালো লভ্যাংশ দিতে চান না। আবার সরকারকেও কর দিতে চান না। এ কারণে লোকসান বা মুনাফা কমিয়ে দেখানোর প্রবণতা আছে।

সার্বিক বিরূপ পরিস্থিতির মধ্যেও কিছু কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে। কিছু কোম্পানি আগের বছরের একই সময়ে যেখানে লোকসান করেছিল, সেখানে গত প্রান্তিকে মুনাফা করার তথ্য দিয়েছে। এর অন্যতম ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস, যমুনা অয়েল, বিএসআরএম লিমিটেড, সিঙ্গার, এমবি ফার্মা, রেকিট বেনকিজার, এপেক্স স্পিনিং, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ ইত্যাদি।

নিট মুনাফার তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, গত জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে ১৮৫ কোম্পানির সাকল্যে ২ হাজার ৮৪৮ কোটি টাকা মুনাফা হয়েছে। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে তারা নিট ৪ হাজার ১৯৬ কোটি টাকা মুনাফা করেছিল। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে নিট মুনাফা কমেছে ১ হাজার ৩৪৮ কোটি টাকা। শতাংশের হিসাবে কমেছে ৩২ শতাংশের বেশি।

খাতওয়ারি হিসাবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় বস্ত্র খাত। এ খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ৫৮টি। এর মধ্যে গতকাল পর্যন্ত ৪৬টির পাওয়া আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী মুনাফায় ২৮টি এবং লোকসানে ১৮টি। মুনাফায় থাকা ২৮ কোম্পানির মধ্যে ১৫টির মুনাফা কমেছে। আবার লোকসানে থাকা ১৮ কোম্পানির মধ্যে ১২টি গত হিসাব বছরের একই সময়ে কম-বেশি মুনাফায় ছিল। একই অবস্থা জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে। এ খাতের তালিকাভুক্ত ২৩ কোম্পানির মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৯টির আর্থিক প্রতিবেদন মিলেছে। এর মধ্যে ১৫টি মুনাফা করেছে, লোকসানে রয়েছে চারটি। কিন্তু মুনাফায় থাকা ১৫টিরই মুনাফা গত হিসাব বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে।

প্রকৌশল খাতের ৪২ কোম্পানির মধ্যে ৩৩টি আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে ২৪টি মুনাফা করলেও এর ২৩টিরই মুনাফা কমেছে। ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৩৪ কোম্পানির মধ্যে ২৫টি আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে মুনাফায় থাকা ২০ কোম্পানির মধ্যে ১৯টির মুনাফা কমেছে বা লোকসান করেছে।

মুনাফার নেতিবাচক প্রভাব শুধু বেসরকারি খাতের কোম্পানি নয়, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এবং বহুজাতিক কোম্পানির ওপরও পড়েছে। যেমন– গত জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে বিদ্যুৎ বিতরণকারী কোম্পানি ডেসকো শেয়ারপ্রতি ৩ টাকা ৬৫ পয়সা করে লোকসান করেছে বলে জানিয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে ডেসকো ৫ পয়সা করে মুনাফা করেছিল। লোকসানের কারণ ব্যাখ্যায় কোম্পানিটি বলছে, পাইকারি ও খুচরা উভয় পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানো হলেও খুচরার তুলনায় পাইকারি মূল্য বেশি বেড়েছে। বেসরকারি উৎপাদনকারী কোম্পানি বারাকা পতাঙ্গা পাওয়ারের আগের বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে যেখানে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৩১ পয়সা, তা এ বছর ৫৩ পয়সায় নেমেছে। বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ে লোকসানকে মুনাফা কমার কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে কোম্পানিটি।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ