যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সঙ্গে এশিয়ার পুঁজিবাজারও চাঙ্গাভাব লক্ষ্য করা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার লেনদেনের শুরুতে এশিয়ার বেশির ভাগ পুঁজিবাজারেই সূচক ঊর্ধ্বমুখী ছিল। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এই ঊর্ধ্বগতি হয়তো বজায় থাকবে না, কারণ নতুন উদ্ধার প্যাকেজ নিয়ে মার্কিন আইনপ্রণেতারা কোনো উপসংহারে যেতে না পারায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারের প্রধান তিনটি সুচকই বেশ ভালো অবস্থানে ছিল। নানা কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা তৈরি হয়। করোনার ভ্যাকসিনবিষয়ক সুখবর, পুনরুদ্ধারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপ, এ ছাড়া ভোক্তা ব্যয় বৃদ্ধির খবর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে পুঁজিবাজারে।
যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারের ঊর্ধ্বগতির ইতিবাচক প্রভাব আজ বৃহস্পতিবার পড়তে দেখা গেছে এশিয়ার বাজারে। জাপানের পুঁজিবাজারে প্রধান সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৯ শতাংশ। ডলারের বিপরীতে জাপানি মুদ্রা ইয়েনের দর কমায় লাভবান হবে রপ্তানিকারকেরা। এই খবর প্রভাব ফেলেছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। এ ছাড়া হয়কংয়ের হ্যাংসেং, চীনের সাংহাই কম্পোজিট সূচক বেড়েছে। বেড়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া ও নিউজিল্যান্ডের পুঁজিবাজারে সূচক।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্লেষক কেভিন ক্যারণ বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে যে মূল শক্তি বাজারকে চালাচ্ছে, তা সত্যিই গতি এনেছে। বর্তমানে এমন এক পুঁজিবাজারে আমরা এসেছি, যেখানে ভাইরাস প্রতিরোধে নেওয়া পদক্ষেপ, পুনরুদ্ধারে নেওয়া পদক্ষেপ বড় প্রভাব ফেলছে।