1. [email protected] : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারসংবাদ.কম : শেয়ারসংবাদ.কম
  3. [email protected] : Zahir Islam : Zahir Islam
  4. [email protected] : muzahid : muzahid
  5. [email protected] : nayan : nayan
  6. [email protected] : khadija : khadija khadija
রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৩৩ পূর্বাহ্ন

তালিকাভুক্ত হতেই মূলধন বাড়িয়েছে আল মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৩

শেয়ারসংবাদ রিপোর্ট:

আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের আগে মাত্র ২ মাস ১৫ দিনের (২০২১ সালের ১৬ জুন থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত ) ব্যবধানে ৩০ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধন ১৫ কোটি ৪০ লাখে উন্নিত হয়েছে। অথচ ২০০৬ সালের ২ আগস্ট গঠিত কোম্পানিটির ওই সময় থেকে ২০২১ সালের ১৫ জুন পর্যন্ত ৩০ লাখ টাকা দিয়েই চলেছে। শুধুমাত্র পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতেই এ মূলধন উন্নীত করা হয়েছে বলে বাজার সংশ্লিটদের মত।

বাজার বিশেষজ্ঞ আবু আহমেদ এ ব্যাপারে বলেন, শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের আগে মাত্র আড়াই মাসের ব্যবধানে ৩০ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানি ১৫ কোটি করার উদ্দেশ্য ভালো না। এসব কোম্পানির আইপিও দিলে শেয়ারবাজার আরো খারাপের দিকেই যাবে বলে তিনি জানান। তার মতে, বাজারে আসার আগে এই দ্রুত উন্নতি অস্বাভাবিক ।

এর আগে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদনের আগে এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার কথা জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

কয়েক বছর ধরে শেয়ারবাজারে আইপিওতে আসার আগেই হঠাৎ করে পরিশোধিত মূলধন কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি সমালোচনার মধ্যে রয়েছে। যে বৃদ্ধি নিয়ে বিভিন্ন মহলের প্রশ্নও রয়েছে। যেটার সত্যতা এবং উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

এ ব্যাপারে কোম্পানি সচিব আনোয়ার হোসেন বলেন,আমাদের তিন জন পরিচালক টাকা ইনভেস্ট করেন। একবছর ধরে ইনভেস্ট করেছেন, এলোটমেন্ট হয়েছে ২ মাসে, এ কারণে পরিশোধিত মূলধন অল্প সময়ের ব্যবধানে বেড়েছে। । এটাকা ব্যবসায়িক প্রসারে করা হয়েছে। (সূত্র শেয়ারখবর.কম)

দেশের বাজারে ওষুধ কোম্পানিগুলোর ব্যবসা খুবই প্রতিযোগিতা পূর্ণ। যেখানে স্কয়ার, ইনসেপ্টা, রেনাটা ছাড়া বহূজাতিক কোম্পানি রয়েছে। সেখানে ভালো অভিজ্ঞতা নেই এমন ম্যানেজমেন্টের আল-মদিনা ওষুধ কোম্পানিকে শেয়ারবাজার থেকে টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর আগে এ জাতীয় সেন্ট্রাল ফার্মা কোম্পানি এসে হারিয়ে গেছে। এছাড়া সিলকো ফার্মা, সিলভা ফার্মা ধুঁকছে।

আল-মদিনা যে ব্যবসায় কতটা দূর্বল, তার প্রমাণ নগদ প্রবাহ হিসাব। কোম্পানিটির সর্বশেষ ২০২১-২২ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ০.৫৫ টাকা ঋণাত্মক পরিচালন নগদ প্রবাহ হয়েছে। অর্থাৎ কোম্পানিটি ওষুধ বিক্রি করলেও টাকা আদায় করতে পারেনি। যাতে করে নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি। এ জাতীয় কোম্পানি একসময় অর্থ সংকটে পরে ডুবে যায়।

এ প্রসঙ্গে কোম্পানি সচিব বলেন, নগদ প্রবাহে এটা হতে পারে। ব্যবসা কখনো আপ হয়, কখনো ডাউন হয়। নভেম্বর ডিসেম্বর কালেকশন বেশি হয়, অন্য সময় কম হয়। এটা ছাড়াও আমাদের লভ্যাংশ দেয়ার সক্ষমতা আছে। রিটেইন আর্নিং থেকে আমরা দিতে পারব।

নগদে লেনদেন মানেইতো ঝুঁকি। তারপরেও আপনাদের ব্যাংকের থেকে হাতে নগদ বেশি কেনো? ব্যাংকে যেখানে ১৭ লাখ টাকা, সেখানে হাতে কেনো ১.৫০ কোটি টাকা। এ ব্যাপারে তিনির বলেন, মাসের শেষের দিকে প্রত্যেক কোম্পানি কালেকশন হয়। পরে এটা জমা হয়। কিছু টাকা আবার নগদ বেতন চলে যায়। এটা কিন্তু কম টাকা।

২০২০-২১ অর্থবছরে শুরুতেই ৩ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধন ছিল। এছাড়া ক্যাপিটালে রুপান্তর করা সাড়ে ৮ কোটি টাকার মেশিনারীজ ছিল। নগদ ৪ কোটি টাকার শেয়ার ইস্যু করা হয়েছিল। তারপরেও ওই অর্থবছরের ওয়েটেড শেয়ার ৬৮২১৯টি কিভাবে হয়? ইন্টারন্যাশনাল রুল দেখেই করা হয়েছে বলে তিনি জানান। রিপোর্টারকে ইন্টারন্যাশনাল রুল দেখে নিতে তিনি পরামর্শ দেন।

এছাড়া কোম্পানির ২৭ পৃষ্টায় ২০২০-২১ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) দেখানো হয়েছে ৩৩.৯৯ টাকা। কিন্তু ৬৭ পৃস্টায় ৩৩৯.৯১ টাকা দেখানোর কারন কি? এ ব্যাপারে তিনি বলেন, শেয়ার ভ্যালু বাড়া কমার কারণে এটা হয়েছে।

২৮ পৃষ্টা অনুযায়ি, ২০২১ সালের ৩০ জুন ১০০১৪৮৩১ টাকার লীজজনিত দায় ছিল। এরপরে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭৩৮৭২২৭ টাকার লীজ দায় প্রদান করা হয়েছে। এই অবস্থায় লীজ দায় কমে ২০২২ সালের ৩০ জুন দাঁড়ায় ২৬২৭৬০৪ টাকা। কিন্তু আপনারা দেখিয়েছেন ৭৬৪৯৮৪৬ টাকা। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ৫০ লাখ ২২ হাজার ২৪২ টাকা লিজ অ্যাসেট যোগ হওয়ায় এটা হয়েছে ।

অন্যদিকে ব্যালেন্স শীটে সর্বপ্রথম ২১ সালের ৩০ জুন ১০০১৪৮৩১ টাকার লীজ দায় দেখানো হয়েছে। কিন্তু ওই অর্থবছরে লীজজনিত ৫৭ লাখ টাকা প্রদান দেখানো হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, এখানে ৫৭ লাখ না।এখানে ২০২১ সালে যেটা দেখানো হয়েছে।ভ এটা ৭৩ লাখ কবে। এটা ভুল আসছে।

২৮ পৃষ্টায় ২০১৯ সালের ৩০ জুন ২.৭৯ কোটি টাকার স্বল্পমেয়াদি ঋণ ছিল। আগের বছর এ জাতীয় ঋণ ছিল না। তারপরেও ২৯ পৃষ্টার নগদ প্রবাহ হিসাবে ওই বা ১৮-১৯ অর্থবছরে স্বল্পমেয়াদি ঋণ গ্রহনের কোন তথ্য নেই। তিনি বলেন, এখানে ২০১৮ সালে শট টার্ম ও লং টাম লোন দেখানো হয়েছে। পরের বছরে আলাদা দেখানো হয়েছে। এ কারণে এটা হয়েছে।

২০১৮ সালের ৩০ জুন দীর্ঘমেয়াদি ঋণের পরিমাণ ছিল ৪.১১ কোটি টাকা। এরপরে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ০.১১ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে বলে ২৯ পৃষ্টার নগদ প্রবাহ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ হিসাবে ২০১৯ সালের ৩০ জুন দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দাঁড়ায় ৪ কোটি টাকা। কিন্তু ২৮ পৃষ্টার ব্যালেন্স শীটে ১.২১ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে। এ ব্যাপারে বলেন, এখানে শর্ট টার্ম লোন সহ ছিল। এ কারণে এটা হয়েছে।

২০১৭-১৮ অর্থবছরে আল-মদিনার বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালু থাকা সত্ত্বেও ওই অর্থবছরের নগদ প্রবাহ হিসাবে গ্রাহকদের থেকে নগদ গ্রহন, সাপ্লায়ারকে প্রদান, বেতনাদি প্রদানসহ অন্যান্য তথ্য নেই। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, এটা ইনডাইরেক্ট মেথডে করেছি। বিধায় ছিল না। পরের বছরের ডাইরেক্ট মেথডে করেছি। কমিশন রুল মানতে এটা করা হয়েছে।

৮২ পৃষ্টায় ২০২১ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য ২২৪.৭৪ টাকা দেখানো হয়েছি। কিন্তু ২৮ পৃষ্টায় ২২.৪৭ টাকা দেখানোর কারন কি? এটা ওই যে, শেয়ার ভ্যারু কম বেশি করার কারণে হয়ছে।

এদিকে ৮২ পৃষ্টায় ২০২১-২২ অর্থবছরে ওয়েটেড শেয়ার দেখানো হয়েছে ১ কোটি ৫১ লাখ ৬০ হাজার শেয়ার। কিন্তু ১৭৫ পৃষ্টায় ২০২১-২২ অর্থবছরের ১ম প্রান্তিকের ইপিএস গণনায় ১ কোটি ৪৪ লাখ ২১ হাজার ৭৩৯টি দেখানোর কারন কি? কোম্পানির সব শেয়ারতো ১ম প্রান্তিকের মধ্যেই ইস্যু করা হয়েছে। জুন ও সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের কারণে কম বেশি হয়েছে বলে তিনি জানান।

সূত্র শেয়ারখবর.কম

১৮ এপ্রিল/ ২০২৩

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ