পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো লিমিটেড এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস নিয়ে গুজব চলছে। কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকরা ৩০% শেয়ার ধারণের কোটা পূরণ করার জন্য শেয়ার কিনবে। এতে বাজারে শেয়ার সংকট দেখা দেবে যার ফলে শেয়ারের দর বৃদ্ধি পাবে। সেই গুজবে এ দুই কোম্পানির বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী হাতে থাকা শেয়ার বেশি দর পাওয়ার আশায় বসে আছেন।
অন্যদিকে অন্যান্য বিনিয়োগকারীরা কোম্পানি দুটি’র শেয়ার কেনার জন্য বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছেন। যে কারণে বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ার দর ৭০ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ১০০ টাকা ছুঁই ছুঁই করছে। অন্যদিকে ১৩ টাকা থেকে দর বৃদ্ধি পেয়ে বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার দর প্রায় ১৯ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। এছাড়া কোম্পানি দুটি আজ ১০ আগস্ট টার্নওভারের শীর্ষ তালিকায় অবস্থান করেছে।
জানা যায়, তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালকদের এককভাবে দুই শতাংশ এবং সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের বিষয়টি নিয়ে বর্তমান কমিশন বেশ হার্ডলাইনে রয়েছে। বেঁধে দেওয়া ৪৫ দিনের মধ্যে শেয়ার কিনতে না পারলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা রাখা হবে বলে কমিশন থেকে জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) এরকম পদক্ষেপে আশাবাদি হয়ে উঠেছেন বিনিয়োগকারীরা।
এবার ব্যর্থ কোম্পানিগুলো ঠিকই বাজার থেকে শেয়ার কিনবেন বলে আশায় রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। তাই যেসব কোম্পানির পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ নেই সেগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি দেখা যাচ্ছে। সম্মিলিতভাবে ব্যর্থ কোম্পানিগুলোর মধ্যে দুটি কোম্পানির একটি হচ্ছে বেক্সিমকো লিমিটেড এবং অন্যটি বেক্সিমকো ফার্মা। বেক্সিমকো লিমিটেডের পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে শেয়ার ধারণের পরিমাণ ২০.১৫ শতাংশ। কোম্পানির পরিচালকদের আরো ৯.৮৫ শতাংশ বা ৮ কোটি ৬৩ লাখ ১৭ হাজার ৪১০টি শেয়ার কিনতে হবে। অন্যদিকে বেক্সিমকো ফার্মার পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে শেয়ার ধারণের পরিমাণ ১৩.১৯ শতাংশ। কোম্পানির পরিচালকদের আরো ১৬.৮১ শতাংশ বা ৬ কোটি ৮১ লাখ ৭৪ হাজার ৩৮টি শেয়ার কিনতে হবে।
এতো বিপুল পরিমাণ শেয়ার পরিচালকদের কেনার বাধ্যবাধকতা থাকায় কোম্পানি দুটি নিয়ে বাজারে গুজব ছড়ানো হয়েছে। কিন্তু হাতে মাত্র অল্প সময় থাকা সত্ত্বেও উল্লেখিত দুই কোম্পানির এখনও পর্যন্ত কোন পরিচালক শেয়ার কেনার ঘোষণা দেননি। তবে এ গুজব সত্যি হবে কিনা মিথ্যা তার জন্য সময়ের অপেক্ষা করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক শ্রেণীর বিনিয়োগকারী সব সময় এ ধরণের গুজবকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বাজারে মুনাফা করে থাকে। এক্ষেত্রে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সচেতন হওয়ার কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন তারা।