শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে জুলাই মাসের তুলনায় আগস্ট মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ১৬টি কোম্পানির। জুন ক্লোজিং কোম্পানিগুলোর ডিভিডেন্ড ঘোষণার সময় এগিয়ে এসেছে। তাই ভালো ডিভিডেন্ডের প্রত্যাশায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা জুন ক্লোজিং কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১৬ কোম্পানিতে বেড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ।
আর একই খাতের ৪টি কোম্পানিতে কমেছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ অপরিবর্তিত রয়েছে ৩টি কোম্পানির। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) পর্যালোচনা করে এই তথ্য জানা গেছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাওয়া ১৬ কোম্পানিরমধ্যে রয়েছে জিবিবি পাওয়ার, ইন্ট্রাকো সিএনজি, শাহাজীবাজার, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেন, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার, পাওয়ার গ্রিড, তিতাস গ্যাস, লুব-রেফ, এনার্জিপ্যাক, ডরিন পাওয়ার, মবিল যমুনা, ডেসকো, সামিট পাওয়ার, ইউনাইটেড পাওয়ার এবং যমুনা অয়েল লিমিটেড।
জিবিবি পাওয়ার: জুলাই মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিলো ১৯.২২ শতাংশ। আগস্ট মাসে তা বেড়ে অবস্থান করছে ২২.৭১ শতাংশে। অর্থাৎ কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ৩.৪৯ শতাংশ।
ইন্ট্রাকো সিএনজি: জুলাই মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিলো ৯.৭৬ শতাংশ। আগস্ট মাসে তা বেড়ে অবস্থান করছে ১১.৯৯ শতাংশে। অর্থাৎ কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ২.২৩ শতাংশ।
শাহাজিবাজার পাওয়ার: জুলাই মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিলো ১৭.১৮ শতাংশ। আগস্ট মাসে তা বেড়ে অবস্থান করছে ১৮.৩৬ শতাংশে। অর্থাৎ কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ১.১৮ শতাংশ।
সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল: জুলাই মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিলো ১৫.৩১ শতাংশ। আগস্ট মাসে তা বেড়ে অবস্থান করছে ১৬.৪৮ শতাংশে। অর্থাৎ কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ১.১৭ শতাংশ।
অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেন: জুলাই মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিলো ২৪.২৯ শতাংশ। আগস্ট মাসে তা বেড়ে অবস্থান করছে ২৫.৩৫ শতাংশে। অর্থাৎ কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ১.০৬ শতাংশ।
বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার: জুলাই মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিলো ৭.১৭ শতাংশ। আগস্ট মাসে তা বেড়ে অবস্থান করছে ৮.০৫ শতাংশে। অর্থাৎ কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.৮৮ শতাংশ।
পাওয়ার গ্রিড: জুলাই মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিলো ১৫.৯৬ শতাংশ। আগস্ট মাসে তা বেড়ে অবস্থান করছে ১৬.৪০ শতাংশে। অর্থাৎ কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.৪৪ শতাংশ।
তিতাস গ্যাস: জুলাই মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিলো ১৪.৬৭ শতাংশ। আগস্ট মাসে তা বেড়ে অবস্থান করছে ১৫.০৩ শতাংশে। অর্থাৎ কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.৩৬ শতাংশ।
লুব-রেফ: জুলাই মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিলো ২৩.৮৭ শতাংশ। আগস্ট মাসে তা বেড়ে অবস্থান করছে ২৪.২০ শতাংশে। অর্থাৎ কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.৩৩ শতাংশ।
এনার্জিপ্যাক: জুলাই মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিলো ১৭.২৯ শতাংশ। আগস্ট মাসে তা বেড়ে অবস্থান করছে ১৭.৫৬ শতাংশে। অর্থাৎ কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.২৭ শতাংশ।
ডরিন পাওয়ার: জুলাই মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিলো ২০.৪৫ শতাংশ। আগস্ট মাসে তা বেড়ে অবস্থান করছে ২০.৫৪ শতাংশে। অর্থাৎ কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.০৯ শতাংশ।
মবিল যমুনা: জুলাই মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিলো ২১.৩২ শতাংশ। আগস্ট মাসে তা বেড়ে অবস্থান করছে ২১.৩৭ শতাংশে। অর্থাৎ কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.০৫ শতাংশ।
ডেসকো: জুলাই মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিলো ২৩.৭২ শতাংশ। আগস্ট মাসে তা বেড়ে অবস্থান করছে ২৩.৭৬ শতাংশে। অর্থাৎ কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.০৪ শতাংশ।
সামিট পাওয়ার: জুলাই মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিলো ১৮.৭৬ শতাংশ। আগস্ট মাসে তা বেড়ে অবস্থান করছে ১৮.৮০ শতাংশে। অর্থাৎ কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.০৪ শতাংশ।
ইউনাইটেড পাওয়ার: জুলাই মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিলো ৭.৩৬ শতাংশ। আগস্ট মাসে তা বেড়ে অবস্থান করছে ৭.৩৮ শতাংশে। অর্থাৎ কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.০২ শতাংশ।
যমুনা ওয়েল: জুলাই মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিলো ২৮.৩৭ শতাংশ। আগস্ট মাসে তা বেড়ে অবস্থান করছে ২৮.৩৮ শতাংশে। অর্থাৎ কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.০১ শতাংশ।