এই গ্রুপের তিন কোম্পানির মধ্যে ওরিয়ন ফার্মা ও ওরিয়ন ইনফিউশন দিনের দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে লেনদেন শেষ করেছে। অপর কোম্পানি বিকন ফার্মার শেষ লেনদেন দিনের দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়েই হয়েছে। তবে সমন্বয়ে সেখান থেকে কিছুটা কমেছে। এদিন পুঁজিবাজারে যত লেনদেন হয়েছে তার মধ্যে ১৬ শতাংশের বেশিই হয়েছে এই তিনটি কোম্পানিতে।
একটি বিভ্রান্তকর সপ্তাহ শেষ করে নতুন সপ্তাহের প্রথম দিন পুঁজিবাজারে মূল্য সূচক কিছুটা বাড়লেও কমেছে বেশিরভাগ শেয়ারের দর। তারপরেও সূচকের উত্থানের মূল কারণ ওরিয়ন গ্রুপের তিনটি কোম্পানির বিস্ময়কর উত্থান পর্ব।
রোববার নতুন সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২০ পয়েন্ট। তবে ১০৯টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমে গেছে ১৪০টির দর। অন্যদিকে আগের দিনের দরে লেনদেন হয়েছে ১২২টি কোম্পানির দর, সেগুলোর সিংহভাগই বেঁধে দেয়া সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হচ্ছে।
তিন মাসে ছয় গুণ বেড়ে যাওয়া কোম্পানির দর আবার বাড়ল একদিনে যতটা বাড়া যায় ততটাই। শতকরা হিসেবে অন্য আরেকটির দর বাড়তে পেরেছে আরও বেশি, কারণ এটির দর আগের সেই কোম্পানির তুলনায় কম।
তিন কোম্পানির মধ্যে ওরিয়ন ফার্মার দর সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়ার সুযোগ ছিল। বেড়েছে ৯.৯৮ শতাংশ। আগের দিন দর ছিল ১১৬ টাকা ২০ পয়সা। বাড়ার সুযোগ ছিল ১২৭ টাকা ৮০ পয়সা পর্যন্ত। বেড়েছে ততটাই।
ওরিয়ন ইনফিউশনের দর ছিল ৪৬৭ টাকা ৪০ পয়সা। বাড়ার সুযোগ ছিল ৫০৮ টাকা ২০ পয়সা পর্যন্ত। বেড়েছেও এতটাই। ঠিক তিন মাস আগে এই কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৮০ টাকা ৭০ পয়সা।
গ্রুপের আরেক কোম্পানি বিকন ফার্মার দর আগের দিন ছিল ৩২১ টাকা ৬০ পয়সা। বাড়ার সুযোগ ছিল ৩৪৯ টাকা ৭০ পয়সা পর্যন্ত। দিনের শেষ লেনদেন হয়েছে এই টাকাতেই। তবে সমন্বয় হয়ে দর দাঁড়িয়েছে ৩৪৮ টাকা ৭০ পয়সায়।
এদিন মোট ৯টি কোম্পানির দর দিনের সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে বা কাছাকাছি গিয়ে লেনদেন শেষ করেছে। এর মধ্যে তিনটিই ওরিয়ন গ্রুপের।
সূচক যে ২০ পয়েন্ট বাড়লেও ওরিয়ন গ্রুপের তিনটি কোম্পানির কারণে সূচকে যোগ হয়েছে তার মধ্যে বিকন ফার্মার একার অবদানই ২৮.৯৬ পয়েন্ট।
মোট লেনদেনের ১৬ শতাংশের বেশি কেবল একটি গ্রুপেরই। হাতবদল হয়েছে এক হাজার ৮১৩ কোটি ৯২ লাখ ৬৩ হাজার টাকা, এর মধ্যে ওরিয়নের তিন কোম্পানির অবদানই ২৯০ কোটির বেশি।
এর মধ্যে একক কোম্পানি হিসেবে লেনদেনের শীর্ষে থাকা ওরিয়ন ফার্মার ২২০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
এই তালিকার চতুর্থ স্থানে থাকা ওরিয়ন ইনফিউশনে প্রায় ৪৭ কোটি টাকা এবং বিকন ফার্মায় প্রায় ২৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।