1. [email protected] : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারসংবাদ.কম : শেয়ারসংবাদ.কম
  3. [email protected] : Zahir Islam : Zahir Islam
  4. [email protected] : muzahid : muzahid
  5. [email protected] : nayan : nayan
  6. [email protected] : khadija : khadija khadija
রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪০ অপরাহ্ন

কী কাজে হাত দিয়েছিলেন ডিএসইর এমডি

  • আপডেট সময় : বুধবার, ২৪ আগস্ট, ২০২২

ফাইভ পি’ মন্ত্র নিয়ে কাজ শুরু করা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূইয়া পদত্যাগ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার তিনি ই-মেইলের মাধ্যমে ডিএসইর চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমানের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছে।

তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মো. তারিক আমিন ভূঁইয়া যেই লক্ষ্য নিয়ে ডিএসইতে এসেছেন, তা বাস্তবায়ন করতে পারছেন না জানিয়ে তিনি পদত্যাগ করেছেন।

যেই কাজে হাত দিয়েছেন

পুঁজিবাজারকে গতিশীল ও আধুনিক করার জন্য অনেক কাজেই হাত দিয়েছিলেন ডিএসইর সদ্য পদত্যাগ করা ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূইয়া। তার মধ্যে অন্যতম ছিলো-ডিএসইতে ডাটা সেন্টার গড়ে তুলতে।

সিসিএ ওয়ালেট-এটি ব্যাংকের মাধ্যমে একটি যৌথ কাজ। এর মধ্যে গ্রাহকদের টাকার নিরাপত্তার বিষয়টি জরিত। এর মাধ্যমে গ্রাহক প্রতিদিন তার বিও হিসেবের টাকার বিষয়ে খুব সহজেই জানতে পারতো।

ব্লক চেইন টেকনোলজি,এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড(ইটিএফ), অল্টারনেটিভ ট্রেডিং ফান্ড (এটিবি), রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্ট (আরইআইটি), এনভারমেন্ট সোসাল গভার্নেন্স (ইএসজি), ইম্পেক্ট ফান্ড, ডন গ্লোবালের সাথে মিলে নতুন ইটিএফ, শরীয়াহ বোর্ড, বিদেশি বিনিয়োগ আনতে ডিজিটাল স্টক এক্সচেঞ্জ এনআইটিএ চালু করা, বিকাশ, নগদ ও উপায়ের মতো পুঁজিবাজারে সার্ভিস চালু করা, স্ট্যাটআপ কোম্পানির জন্য নতুন বোর্ড, আইসিটি কোম্পানির তালিকাভুক্তির উদ্যোগ, লন্ডক স্টক এক্সচেঞ্জ গ্রুপ এবং জাতিসংঘের ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের (ইউএনসিডিএফ) সাথে যৌথভাবে কাজ করা।

কী তার যোগ্যতা:

অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তারিক আমিন ভূঁইয়া গত বছরের ২৫ জুলাই ডিএসইর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। বিশেষ করে আর্থিক প্রযুক্তির ওপর তার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এএনজেড, আইএনজি, সেন্ট জর্জ ব্যাংক, ওয়েস্টপ্যাক ব্যাংকিং করপোরেশন ও ব্র্যাক ব্যাংকে তিনি তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়া তিনি অ্যাকসেনচার, ইনফোসিস ও টিসিএসের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানেও কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি ফ্রেন্ডশিপ এনজিওর তথ্যপ্রযুক্তি পরামর্শক এবং হাশক্লাউড পিটিওয়াই লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা, সিটিও এবং চিফ প্রডাক্ট অফিসার হিসেবে কাজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ২৫ বছরেরও বেশি সময় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন৷

এছাড়াও তিনি ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (সিআইও) এবং মোবাইল মানি ট্রান্সফার কোম্পানি বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

ডিএসইতে যোগদানের পূর্বে তিনি বাংলাদেশের অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ফ্রেন্ডশিপ এনজিও’র তথ্যপ্রযুক্তি পরামর্শক এবং অস্ট্রেলিয়ার হ্যাশক্লাউড (Hashkloud) পিটিওয়াই লিমিটেড এর প্রতিষ্ঠাতা সিইও এবং সিটিপিও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন৷ এছাড়াও তিনি হ্যাশক্লাউড বাংলাদেশ লিঃ এর নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তারিক আমিন ভূঁইয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে তিনি ম্যাকোরি (Macquarie) বিশ্ববিদ্যালয়, সিডনী, অস্ট্রেলিয়া থেকে মাস্টার অব কমার্স ইন ইনফরমেশন সিস্টেম অ্যান্ড টেকনোলজি করেন। এর পূর্বে তিনি অস্ট্রেলিয়ান ইন্সটিটিউট অব বিজনেস থেকে ম্যানেজমেন্টে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

তারিক আমিন ভূঁইয়া আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন স্বনামধন্য ইন্সটিটিউট থেকে ব্লক চেইন এবং চেইঞ্জ ম্যানেজমেন্টের উপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ লাভ করেন৷ তিনি ব্লক চেইনের ওপর গবেষণার জন্য ফ্র্যাঙ্কফুর্ট স্কুল অব ফিনান্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট থেকে “Certified Blockchain Expert” সার্টিফিকেট অর্জন করেন৷ এছাড়াও তিনি DevOps Master Course, অস্ট্রেলিয়ার সিডনীতে PMI-ACP (PMI-Agile Certified Professional), আমেরিকার পোর্টল্যান্ডে PROSCI Change Management Certification Training সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ লাভ করেন৷
ফাইভ পি কী:

‘ফাইভ পি’ একটি মন্ত্র। প্রথম ‘পি’ হলো- পাবলিক (জনগণ বা বিনিয়োগকারী) অর্থাৎ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করা হবে। ডিএসই বিনিয়োগকারীদের আরও কাছে আসবে। অর্থাৎ উভয়ের মধ্যকার দূরত্ব কমানো হবে।

দ্বিতীয় ‘পি’ হচ্ছে- প্লাটফর্ম। প্লাটফর্ম মানে হচ্ছে- ডিএসই’র শেয়ার কেনা-বেচাসহ সব ধরনের বিষয়। এগুলো আরও সহজ করা হবে। যাতে বিনিয়োগকারীদের কোনো ক্ষতি না হয়। বিনিয়োগকারীরা যেন প্রতিদিনের তথ্য সঠিক সময়ে পেতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হবে।

তৃতীয় ‘পি’ হচ্ছে- প্রোডাক্ট। ডিএসই এখনও ইক্যুইটি বেজ পুঁজিবাজার। অর্থাৎ, এখানে কেবল কিছু কোম্পানির শেয়ার কেনা-বেচা হয়। কিন্তু বিশ্বের অন্যান্য পুঁজিবাজারে এর বাইরে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকে। যেমন- বন্ড, হালাল ব্যবসা অর্থাৎ শরিয়াহ ভিত্তিক কোম্পানি, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল পণ্য ইত্যাদি পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বিনিয়োগকারীরা যাতে তাদের পছন্দ মতো বিনিয়োগ করতে পারেন।

চতুর্থ ‘পি’ হচ্ছে- প্রসেস। প্রসেস বলতে বোঝায় প্রক্রিয়া। এখানে সবাই যাতে খুবই সহজে ও নির্ভুলভাবে কাজ করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পঞ্চম ‘পি’ হচ্ছে- পলিসি। এটি দেশ, পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে করা হবে। যাতে সবাই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আকৃষ্ট হন। ভালো মুনাফা পান।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ