ঈদের আগের শেষ পাঁচ কার্যদিবস টানা ঊর্ধ্বমুখি ছিল পুঁজিবাজর। এতেই গত সপ্তাহে পুঁজিবাজারে ৮ হাজার কোটি টাকার ওপরে ফিরে এসেছে। বড় অঙ্কের অর্থ ফেরার সপ্তাহে বেড়েছে সবকটি মূল্য সূচক। সেই সঙ্গে লেনদেনের পরিমাণ বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ২০৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৪টির। আর ১২০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা; যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩ লাখ ১৭ হাজার ৫২৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৮ হাজার ২০৪ কোটি টাকা। বাজার মূলধন বাড়ার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের পরিমাণ সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে।
এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩৩ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট। এর মাধ্যমে টানা ছয় সপ্তাহ সূচকটি বাড়ল। আগের পাঁচ সপ্তাহে ১১ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট, ৭ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট, ৭৪ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট, ১৭ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট এবং ৬ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট বাড়ে সূচকটি।
প্রধান মূল্য সূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহে বেড়েছে ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক। শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত এ সূচকটি গত সপ্তাহে বেড়েছে ৩০ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্ট। এ সূচকটিও টানা ছয় সপ্তাহ বাড়ল। আগের পাঁচ সপ্তাহে এ সূচকটি দশমিক ৬১ পয়েন্ট, ৬ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট, ১৬ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট, ২ দশমিক ৬১ পয়েন্ট এবং দশমিক ৯৪ পয়েন্ট বাড়ে।
বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইর আরেকটি সূচক ডিএসই-৩০। এ সূচকটি গত সপ্তাহে বেড়েছে ৪৬ দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্ট। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৫ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট। তবে তার আগের সপ্তাহে দশমিক ৬১ পয়েন্ট কমে সূচকটি।
এদিকে আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৪৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ২৪৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বাড়ে ১৯৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা বা ৮০ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২৩৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ১ হাজার ২৩৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ৯৯৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনে ‘এ’ গ্রুপ বা ভালো কোম্পানির অবদান ছিল ৮৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ। এছাড়া ‘বি’ গ্রুপের অবদান ১১ দশমিক ২০ শতাংশ, ‘জেড’ গ্রুপের দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং ‘এন’ গ্রুপের ১ দশমিক ১৮ শতাংশ অবদান ছিল।
গত সপ্তাহে ডিএসইর মূল বাজারে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- বেক্সিমকো ফার্মা, প্রাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, গ্রামীণফোন, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস, ইষ্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, খুলনা পাওয়ার, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স এবং বিকন ফার্মাসিউটিক্যাল।