ডলার সংকট এবং বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে দেশের ভবিষ্যত অর্থনীতি নিয়ে মন্দার বিভিন্ন শঙ্কার খবর এরইমধ্যে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ভর করেছে। যা শেয়ারবাজারে বড় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এতে করে ঈদ পরবর্তী টানা ৯ কার্যদিবস শেয়ারবাজারে পতন হয়েছে। যা বিনিয়োগকারীরা অতিষ্ঠ করে তুলেছে। এই পরিস্থিতিতে শেয়ারবাজারে অর্থ প্রবাহ বাড়ানোর জন্য মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ডিলারের ক্যাপিটালে নজরদারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
দেশে লোডশেডিংয়ের খবর প্রকাশের পর থেকে শেয়ারবাজার টানা পতনে রয়েছে। এরইমধ্যে দৈনিক ১ ঘন্টার লোডশেডিংয়ে গত ৯ কার্যদিবসের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ৩১৪ পয়েন্ট নাই হয়ে গেছে। এরমধ্যে আবার লোডশেডিং আরও মন্দাবস্থা দেখা দিতে পারে বলেও বিভিন্ন শঙ্কার খবর বেরোচ্ছে। যা অর্থনীতিতে বিরুপ ফেলতে পারে। এছাড়া ডলার নিয়েও নানা নেতিবাচক খবর পাওয়া যাচ্ছে।
এই দুই কারনে পুঁজিবাজারে যখন টানা নেতিবাচক, তখন অর্থ প্রবাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে বিএসইসি মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ডিলারের ক্যাপিটালে নজর দিয়েছে। এক্ষেত্রে কমিশন মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ডিলারের ক্যাপিটাল যথাযথ ব্যবহার হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখবে। অনেকে ওই ক্যাপিটালের অপব্যবহার করেছে বলে কমিশনের কাছে খবর আছে।
বিএসইসির এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিজনেস আওয়ারকে বলেন, মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ডিলারের ক্যাপিটালের যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে না। তাই কমিশন ওই ক্যাপিটালের সঠিক ব্যবহারে নজরদারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে অপব্যবহার অর্থ পুঁজিবাজারে আসবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। যা বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এ বিষয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামও গতকাল এক টকশোতে খতিয়ে দেখার কথা বলেছেন।