শেয়ারবাজারে নতুন তালিকাভুক্ত খাদ্য এবং আনুষাঙ্গিক খাতের কোম্পানি বিডি থাই ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অর্থ ব্যবহারে পরিবর্তনের জন্য আবেদন জনিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে।
কোম্পানিটির আবেদনের প্রেক্ষিতে নতুন এই সিদ্ধান্তে সম্মতি জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
এর আগে গত ৯ মে কোম্পানিটির আহ্বান করা বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) এ বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি নেয়া হয়েছে। এ-সংক্রান্ত নির্ধারিত রেকর্ড ডেট ছিল ১০ এপ্রিল। এক মূল্যসংবেদনশীল তথ্যের মাধ্যমে এই সম্মতির কথা জানিয়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানিটি।
এর আগে ডিএসইর মাধ্যমে কোম্পানিটি জানিয়েছিল, আগে বিএসইসি কোম্পানিটির আইপিও প্রসপেক্টাসের ২ কোটি ৮৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকার টানেল ওভেন কিনতে অনুমোদন করেছিল। কিন্তু কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ এ টাকা অন্য খাতে ব্যয় করবে। টানেল ওভেনের জন্য বরাদ্দ দেয়া এ অর্থ কয়েক খাতে ব্যয় করার কথা ছিল কোম্পানিটির। এর মধ্যে কোম্পানিটি ৮৪ লাখ ৫৭ হাজার ৪৯৮ টাকা ব্যয়ে ওয়ান রোটারি ওভেন অ্যান্ড পাকিং মেশিন সলিউশন মেশিন আমদানি করবে। চীনের সাংহাই মেঘাহু ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড কোম্পানির থেকে এ যন্ত্রাংশ কিনবে কোম্পানিটি।
এছাড়া ১৮ লাখ ৫৭ হাজার ৬০০ টাকায় আরেকটি রোটারি ওভেন কিনবে কোম্পানিটি। ভারতের সিএস অ্যারোথার্ম প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এ ওভেন মেশিন আমদানি করবে তারা।
আইপিও প্রসপেক্টাসের অর্থ ব্যবহার পরিকল্পনায় পরিবর্তনের অংশ হিসেবে চীনের গুয়াংজু হুয়ান প্রিসিশিয়ান মেশিনারি কোম্পানি লিমিটেড থেকে ৫১ লাখ ৭৭ হাজার ২০০ টাকায় দুই সেট মোল্ড পার্টস কিনবে বিডি থাই ফুড। আরেক সেট মোল্ড পার্টস আনা হবে চীনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান থেকে। এজন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ২৫০ মিলি, ৫০০ মিলি ও ১ লিটারের পানির বোতলগুলোর জন্য আমদানি করা এ মোল্ড মেশিন আমদানির ফলে কোম্পানিটির খরচ কমানো সম্ভব হবে। কোম্পানিটি অবশিষ্ট ১ কোটি ২১ লাখ ২২ হাজার ৭০২ টাকা ২৫০ কেভিএ ডিজেল জেনারেটর ও ৫০০ কেজি বয়লারসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কিনতে ও নির্মাণকাজে ব্যয় করা হবে। কোম্পানিটির এ সংশোধিত প্রস্তাবে সম্প্রতি সম্মতি জানিয়েছে বিএসইসি।
গত ২৪ জানুয়ারি শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু করে বিডি থাই ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড। কোম্পানিটির আইপিও গত বছরের ৩ অক্টোবর অনুমোদন দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। কোম্পানিটিকে ১০ টাকা ইস্যু মূল্যের ১ কোটি ৫০ লাখ সাধারণ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ১৫ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দেয়া হয়। উত্তোলিত অর্থ যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম কেনা, ভবন নির্মাণ, ভূমি উন্নয়ন ও আইপিও প্রক্রিয়ার খরচ খাতে ব্যয় করবে কোম্পানিটি।