২০১০ সালে পুঁজিবাজার ধসের কারণ ছিলো কালো টাকা। পুঁজিবাজারে যদি কালো টাকার বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায় তবে তা বাজারের জন্য ক্ষতিকর। এর কিছু নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে যা বাজারে বুদবুদের মতো কাজ করবে। রবিবার (১৯ জুন) দি এশিয়া ফাউন্ডেশন, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড) এবং ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ” রিফলেকশন অন বাজেট ২০২২-২৩” শীর্ষক এক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রহমান।
তিনি বলেন, ২০০৭-০৮ সালে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়ার পর এর বেশিরভাগ টাকা ঢুকেছিলো আবাসন খাতে এবং পুঁজিবাজারে। কিন্তু সমস্যা টা হলো যারা কালো টাকাকে সাদা বানাতে আসে, তারা আসলে একটা সাময়িক সময়ের জন্য টাকাটা বিনিয়োগ করতে আসে।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, এই কালো টাকাগুলো যখন পুঁজিবাজারে আসে তখন এটি এক ধরণের বাবল ইকোনোমি তৈরি করে। এই বাবল বা বুদবুদ গুলোই একটা সময় ফেটে যায় আর পুঁজিবাজারের ধসের কারণ হয়। ২০০৭-০৮ সালে তক্তাবধায়ক সরকারের আমলে পুঁজিবাজারে আসা কালো টাকার তৈরি বাবলটাই ফেটেছিলো ২০১০ সালে বর্তমান সরকারের ঘাড়ে এসে। ২০১০ সালের সেই ধসে মানুষ তখন আঙ্গুল তুলেছিলো বর্তমান সরকারের দিকেই।
রিজওয়ান বলেন, ওই সময় কালো টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ দেয়ার কারণেই মূলত ২০১০ সালে বাজারে সেই ধস নেমেছিলো। তখন অনেক মানুষ আত্মহত্যার পথও বেছে নিয়েছিলো। এজন্য আমি মনেকরি কালো টাকা পুঁজিবাজারের বিনিয়োগের সুযোগ দেয়ার বিষয়টি খুবই বিপদজনক। আর সেই যে বারো বছর আগে আমাদের বাজার ধসে পরলো এখনও উঠে দাড়াতে পারে নাই। ১৯৯৬ থেকে হঠাৎ ২০০৭ এর সময়ে এসে পুঁজিবাজার চাঙ্গা হয়ে উঠেছিলো এই কালো টাকার কারণেই। তাই কালো টাকা যদি বাজারে আসে তা পুঁজিবাজারের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
এ সময় ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি শারমিন রিনভীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য কাওসার আহমেদ, জিইডি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও র্যাপিদের নির্বাহী পরিচালক এম আবু ইউসূফ সহ আরও অনেকে।