পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইয়াকিন পলিমার লিমিটেডকে অধিগ্রহণ করতে পারবে ক্যাপিটা প্যাকেজিং সলিউশন লিমিটেড। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কোম্পানিটিকে শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন দিয়েছে।
ক্যাপিটা প্যাকেজিং সলিউশন লিমিটেড ইয়াকিন পলিমারের উদ্যোক্তাদের ধারণকৃত ৩০ দশমিক শতাংশ শেয়ার অভিহিত মূল্য ১০ টাকা দরে কিনে নিয়ে কোম্পানিটিকে অধিগ্রহণ করবে। শেয়ার সংখ্যা ২ কোটি ২১ লাখ ৯৩ হাজার। স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেডিং সিস্টেমের বাইরে এই শেয়ার কেনাবেচা হবে।
অধিগ্রহণে দেওয়া বিএসইসির শর্তগুলো হচ্ছে-
ক্যাপিটা প্যাকেজিংয়ের নামে শেয়ার স্থানান্তরের পর নতুন পর্ষদ করা হবে। পর্ষদের প্রত্যেক সদস্যের কমপক্ষে ২ শতাংশ শেয়ার থাকতে হবে। একই সাথে পরিচালকরা সম্মিলিতভাবে মোট শেয়ারের ন্যূনতম ৩০ শতাংশ ধারণ করবেন।
নির্দেশনা জারির ৩০ দিনের মধ্যে শেয়ার হস্তান্তরের বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোম্পানির ঋণের বোঝা কমাতে উদ্যোগ নিবে নতুন পর্ষদ। একই সাথে কোম্পানির বর্তানে ৩৩.৯৫ কোটি টাকার ব্যাংক ঋণের দায়ভারও গ্রহণ করবে নতুন পর্ষদ।
শেয়ার হস্তান্তর হওয়ার দুই মাসের মধ্যে ক্রেতাদেরকে কোম্পানিটির উৎপাদন চালু করার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
ইয়াকিন পলিমারের শেয়ার বিক্রেতারা হলেন, সাতক্ষীরা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ (৫২৪৬৩৫৬ শেয়ার), ইয়াকিন এগ্রো প্রোডাক্টস (২৮২৩০৩৯ শেয়ার), কাজী আনোয়ারুল হক (২৭২৩২০৮ শেয়ার), কাজী নজিবুল হক (২৯১১১৭২ শেয়ার), এস.এম. আকতার কবির (১৭৪৮৭৮৫ শেয়ার), জুলিয়া পারভিন (১৩৮১০৭৫ শেয়ার), মালিহা পারভিন (১৫৭৩৯০৬ শেয়ার), এস.এম. মনিরুজ্জামান (১৫,৬১,৪১৫ শেয়ার), সাব্রিনা সামাদ (১৪,৭৪,৫৯৯ শেয়ার), এস.কে. ইয়াকিন পলিমারের জামিল হোসেন (১,৪৭৫,৪৮১ শেয়ার) এবং কাজী এমদাদুল হক (২,৭৪,৮০৯ শেয়ার)।
উল্লেখ, ২০১৬ সালে কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে।