পুঁজিবাজারে অনবরত পতনের জেরে উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে সূচক, লেনদেন ও মূলধন। গেল দুই সপ্তাহের মতো চলতি সপ্তাহেও বাজারে বড় পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে। পতনমুখী বাজারে বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তুলে নেয়ার প্রবণতা বাড়ায় ক্রয়ের চেয়ে বিক্রি করতেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। এতে করে ক্রেতা সংকটের ফলে সূচক ও লেনদেনে বড় পতন লক্ষ গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার চলতি সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এক দিনেই বাজারমূলধন হারিয়েছে প্রায় ২ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার ডিএসইর বাজারমূলধন ছিল পাঁচ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা। যা গত সোমবার ছিল পাঁচ লাখ ২১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক দিনে বাজারমূলধন কমেছে দুই হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর কমার পাশাপাশি ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ২৭ পয়েন্টের বেশি।
প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৭ দশমিক ৪২ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৪২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৪০৩ দশমিক ৫০ পয়েন্টে।
ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১ দশমিক ৫২ পয়েন্ট বা শন্য দশমিক ১০ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২ দশমিক ২৫ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৪০৮ দশমিক ৭৬ এবং দুই হাজার ৩৬৩ দশমিক ৬৬ পয়েন্টে।
ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৭৭৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। যা আগের কার্যদিবস থেকে ২৪৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা কম। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ২৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
গতকাল ডিএসইতে ৩৭৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৯টির বা ২৩.৪৮ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ২৪৫টির। এবং ৪৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল।
দেশের দ্বিতীয় পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ১২১ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৭৪৫ দশমিক ১৭ পয়েন্টে। সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৯৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৬৬টির, কমেছে ১৯৫টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩২টির দর। অন্যদিকে গতকাল সিএসইতে ২৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে