অনেক আগে থেকেই পুঁজিবাজারে শক্ত বিচরণ রয়েছে বিশ্বসেরা ক্রিকেট অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। ক্রিকেটে যেমন নাম-ডাক কুড়িয়েছেন, পুঁজিবাজারেও ইতোমধ্যে বহুবার আলোচনায় এসেছেন। বাজারে গুঞ্জন রয়েছে, ইতোমধ্যে তিনি বহু কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা করে কোটি কোটি টাকা মুনাফা তুলেছেন। কোম্পানিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-এনআরবি ব্যাংক, ফরচুন সুজ, সোনালী পেপার, ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স, মালেক স্পিনিং, ম্যাকসন্স স্পিনিং। এবার ব্রোকারেজ হাউজ নিয়ে তিনি পুঁজিবাজারে অভিষিক্ত হচ্ছেন, যেখানে নিজের শেয়ার কেনাবেচার পাশাপাশি অন্যদের শেয়ারও কেনা-বেচার সুযোগ করে দেবেন।
সাকিবের অনুমোদন পাওয়া ব্রোকারেজ হাউজের নাম মোনার্ক হোল্ডিংস। মঙ্গলবার থেকেই সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে শেয়ার কেনা-বেচা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কোম্পানিটির কর্মকর্তারা। ডিইসই থেকে জানানো হয়, কোম্পানিটি শেয়ার কেনাবেচা করার যাবতীয় কার্যক্রম ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছেন।
এরমধ্যে গতকাল রোববার কেনাবেচা শুরু করেছে রহমান ইক্যুইটি ম্যানেজম্যান্ট নামে একটি ট্রেক বা ব্রোকারেজ হাউজ।
আজ সোমবার কেনাবেচা শুরু করেছে থ্রি আই সিকিউরিটিজ। সকালে মতিঝিলে থ্রি আই সিকিউরিটিজ হাউজটির উদ্বোধন করেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূইয়া।
এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি ডিএসই ওয়েবসাইটে চারটি ব্রোকারেজ হাউজকে স্টক ব্রোকার রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, তিন ডিজিটের আইডি এবং ছয় ডিজিটের নম্বর দেয়া হয়।
হাউজগুলোর মধ্যে থ্রি আই ও রহমান ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ছাড়াও আছে সাকিব আল হাসানের মোনার্ক হোল্ডিং ও সোনালী সিকিউরিটিজ।
গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর নতুন ৫৫টি ব্রোকারেজ হাউস বা ট্রেককে (ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট) লাইসেন্স দেয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এরপর আরও ৩টি ট্রেকের অনুমোদন দেয়া হয়। এখন এই তালিকা বেড়ে হয়েছে ৫৮টিতে। এতে ডিএসইর সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউজ বা ট্রেকের সংখ্যা দাঁড়াবে ২৮৩টিতে।