লেনদেনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে সম্প্রতি প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) সম্পন্ন করা ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেডের। কোম্পানিটি আগামী ২৬ জানুয়ারি, বুধবার পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু করবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, আগামী বুধবার ডিএসইতে কোম্পানিটি “এন” ক্যাটাগরিতে লেনদেন শুরু করবে। ডিএসইতে কোম্পানিটির ট্রেডিং কোড হবে “UNIONBANK”। আর কোম্পানি কোড হবে ১১১৫২।
গতকাল ২৩ জানুয়ারি, রোববার সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) মাধ্যমে ব্যাংকটির বরাদ্দপ্রাপ্ত শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে জমা হয়েছে।
এর আগে ইলেক্ট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেম (ইএসএস)-এর মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) শেয়ার বরাদ্দ দিয়েছে ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড। প্রতি ১০ হাজার টাকা আবেদনের বিপরীতে দেশি বিনিয়োগকারীরা ৭৯২টি শেয়ার এবং প্রবাসী বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীরা ৫৩৭টি শেয়ার বরাদ্ধ পেয়েছে।
গত ১৬ জানুয়ারি নিকুঞ্জ-২ এর ডিএসই টাওয়ারে প্রো-রাটার ভিত্তিতে এই শেয়ার বরাদ্দ দেওয়া হয়। কোম্পানিটির সব শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে মোট তিন দশমিক ৬২ গুণ বেশি আবেদন জমা পড়ে। ব্যাংকটি গত ২৬ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পরযন্ত আইপিও আবেদন সংগ্রহ করে।
এর আগে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ব্যাংকটির আইপিও অনুমোদন দেয়।
ইউনিয়ন ব্যাংক পুঁজিবাজারে ৪২ কোটি ৮০ লাখ সাধারণ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৪২৮ কোটি টাকা উত্তোলন করে। এক্ষেত্রে প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে ব্যাংকটি অর্থ উত্তোলন করে এসএমই ও প্রজেক্ট অর্থায়ন, সরকারি সিকিউরিটিজ ক্রয়, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।
কোম্পানিটির ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী পুন:মূল্যায়ন ছাড়া নেট অ্যাসেটভ্যালু হয়েছে ১৬.৩৮ টাকা (কোম্পানিটি কোনো সম্পদ পুন:মূল্যায়ন করেনি) এবং শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হগয়েছে ১.৭৭ টাকা। বিগত ৫ বছরের ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৮২ টাকা।
আইপিওতে কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে যথাক্রমে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট এবং ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংক এর ডিওএস সাক্যুলার নং ০১ তারিখ ১০/০২/২০২০ অনুযায়ী ব্যাংকটি ২০২১ সালের মধ্যে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। এছাড়াও শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পূর্বে ব্যাংকটি কোনো প্রকার লভ্যাংশ ঘোষণা, অনুমোদন বা বিতরণ করতে পারবে না।