চলতি মাসে তিনটি আইপিও শেয়ারের জন্য টাকা জমা দিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। এর মধ্যে ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের আবেদন শেষ হয়েছে। কোম্পানিটি ১ কোটি ৯৩ লাখ ৬০ হাজার ৯০৪টি শেয়ার ছেড়ে ১৯ কোটি ৩৬ লাখ ৯ হাজার ৪০ টাকা তুলবে।
বাকি দুটির মধ্যে ইউনিয়ন ব্যাংক ৪২ কোটি ৮০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ৪২৮ কোটি টাকা এবং বিডি থাই ফুডস দেড় কোটি শেয়ার ছেড়ে ১৫ কোটি টাকা তুলবে।
কোম্পানি ৩টি পুঁজিবাজার থেকে মোট ৪৬২ কোটি টাকা তুলবে।
কোম্পানি ৩টির আইপিওতে যদি ১৫ গুণও আবেদন জমা পড়ে, তাহলে তিনটি কোম্পানির জন্য আবেদন জমা পড়বে প্রায় ৭ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছন, আইপিও আবেদন করার জন্য ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে এটি খুবই ভালো উদ্যোগ। তবে এখন যেহেতু আইপিও আবেদন করলেই শেয়ার পাওয়া যায়, সে জন্য যতগুলো শেয়ার পাওয়া যায় তার সমপরিমাণ টাকা জমা দেয়ার বিধান থাকা জরুরি।
তারা বলছেন, আইপিও আবেদনে ১০ হাজার টাকা জমা দেয়া যৌক্তিকতা যাচাই করা যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে ন্যূনতম ২ হাজার টাকা বাধ্যতামূলক রেখে আইপিও আকার অনুযায়ী জমার পরিমাণ বাড়ানো যেতে পারে।
আইপিও আবেদনের জন্য ১০ হাজার টাকা জমা দেয়ার বিষয়ে যুক্তি দেখিয়ে বিএসইসির এক কর্মকর্তা শেয়ারনিউজকে বলেন, ১০ হাজার টাকার বিপরীতে যে পরিমাণ শেয়ার পাওয়া যায়, সে শেয়ার বিক্রি করে বিনিয়োগকারীদের যে লাভ হয়, তা ব্যাংকের রিটার্নের চেয়ে অনেক বেশি।
তিনি বলেন, আবেদন ১০ হাজার টাকার কম বা ৫ হাজার টাকা করা হলে আবারও আইপিও সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠবে। আইপিও মার্কেটের শৃঙ্খলা আনার জন্যই এই টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তারল্য সংকটে লেনদেন যখন তলানিতে নেমেছে, সে সময় কয়েক হাজার কোটি টাকা আটকে থাকার বিষয়টি তুলে ধরলে তিনি বলেন, টাকা আটকে থাকার বিষয়টি সাময়িক। আবেদন করার পর টাকা ফেরত পাওয়ার বিষয়টি আগের চেয়ে অনেক সহজ করা হয়েছে।
তবে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইপিওতে এখন খুব কম শেয়ার পাওয়া যায়। কম শেয়ারের জন্য এতো বেশি টাকার আবেদন করার কোন যৌক্তিকতা নেই।