পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে বিভিন্ন বিষয়ে প্রসপেক্টাসে গোজাঁমিল তথ্য প্রদান করেছে ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে সরলরৈখিক বলে ক্রমহ্রাসমান পদ্ধতিতে অবচয় গণনা, বিনিয়োগ নিয়ে মিথ্যা তথ্য, হিসাব মানের বাহিরে গিয়ে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য গণনায় ওয়েটেড শেয়ার নেওয়া ও নগদ প্রবাহ হিসাবে একই বিষয়ে পৃষ্টাভেদে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য প্রদানের মতো ঘটনা ঘটেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রসপেক্টাসের ২৬৪ পৃষ্টায় শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) গণনায় ওয়েটেড শেয়ার নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু হিসাব মানে এনএভিপিএস গণনার ক্ষেত্রে ওয়েটেড শেয়ার নেওয়ার কোন সুযোগ নেই।
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছে ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষ। ৩৪৫ পৃষ্টায় প্রদত্ত বিনিয়োগকৃত কোম্পানিগুলোর শেয়ারের বাজার দরে খামখেয়ালিমূলক তথ্য সরবরাহ করেছে। যার সঙ্গে বাস্তবের ১টিরও মিল নেই।
ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষ এসিআই কোম্পানিতে তাদের বিনিয়োগের গত ৩১ ডিসেম্বর প্রতিটি শেয়ারের বাজার দর দেখিয়েছে ১১৯.৫০ টাকা। অথচ গত ২ বছরের মধ্যে এসিআইয়ের শেয়ার দর কখনো ২০০ টাকার নিচে নামেনি। একইভাবে ৩১ ডিসেম্বরের ৫৭ টাকার বেক্সিমকোর শেয়ার দর ৪৯.১০ টাকা, ৪২.৬০ টাকার বিজিআইসির ৪১.৩০ টাকা, ১৫.২০ টাকার আইএফআইসির ১৫ টাকা, ৭ টাকার এনবিএল ৭.২০ টাকা, ৭৫.৩০ টাকার পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স ৭৪.৪০ টাকা, ৬২.৫০ টাকার সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স ৫৬.৮০ টাকা এবং ৫৫ টাকার ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স ৫২.৪০ টাকা দেখিয়েছে।
২৪৮ পৃষ্টায় ক্যাশ ফ্লো হিসাবে ফিক্সড অ্যাসেট বিক্রি থেকে ২০১৯ সালে নগদ সংগ্রহ ৪৮৫৬৭৫০ টাকা এবং লভ্যাংশবাবদ প্রদান ১০৬৪২৯০১ টাকা দেখানো হয়েছে। কিন্তু ৩৩২ পৃষ্টায় যথাক্রমে ৪৮৫৪৭৫০ টাকা ও ১২০২৫৪১০ টাকা দেখানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে ইস্যু ম্যানেজার সোনার বাংলা ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমাম হোসাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষকে নিয়ে একসঙ্গে বসে জানাবেন বলে জানিয়েছিলেন। এ নিয়ে প্রথম দফায় ৮ ডিসেম্বর সময়ও নির্ধারন করেছিলেন। কিন্তু ওইদিন ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনার প্রধান অসুস্থ হয়ে পড়ায় ১৬ তারিখের আগে বসবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে সাড়া না দিলে এর পরবর্তীতে ফোন দিলে তিনি জানান, আসলে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ এখন বসতে চাচ্ছেন না, তাই আমি চাইলেও কোন মন্তব্য করতে পারছি না।