পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এরামিট সিমেন্টের পরিচালনা পর্ষদ চলতি অর্থবছরের জন্য সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ অন্তবর্তী লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এই লভ্যাংশ কেবল সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য, উদ্যোক্তা পরিচালকদের জন্য নয়।
কিন্তু কোম্পানিটি অন্তর্বর্তীকালীন এই লভ্যাংশ ঘোষণার ক্ষেত্রে স্টক এক্সচচেঞ্জে তালিকাভুক্তির নিয়ম ভঙ্গ করেছে।
তালিকাভুক্তির নিয়ম অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভা করার ৩ কার্যদিবস আগে শেয়ারহোল্ডার, স্টক এক্সচেঞ্জ এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে অবহিত করতে হয়। বিশেষ করে বোর্ড সভাটি যদি লভ্যাংশ বা অন্তবর্তীকালীন ডিভিডেন্ড ঘোষণার জন্য আহ্ববান করা হয়, তাহলে অবশ্যই ৩ কার্যদিবস আগে সংশ্লিষ্টদের অবহিত করতে হবে।
কিন্তু এরামিট সিমেন্ট স্টক এক্সচেঞ্জের সেই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়েছে। কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডার, স্টক এক্সচেঞ্জ এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে অবহিত করেনি।
এ বিষয়ে ডিএসইর কর্মকর্তারা বলছেন, কোম্পানিটি ডিএসইর তালিকাভুক্তির নীতিমালা লংঘন করেছে। অন্তবর্তীকালীন ডিভিডেন্ড ঘোষণার আগে ডিএসইকে কোন ইনটিমেশন দেয়নি।
এ বিষয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন ডিভিডেন্ড ঘোষণার সময় কোনো নিয়ম লঙ্ঘন হলে কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এদিকে, কোম্পানির স্পন্সর এবং পরিচালকদের বাদ দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন আকস্মিক লভ্যাংশ ঘোষণার প্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার কোনো সার্কিট ব্রেকার না থাকায় ডিএসইতে এরামিট সিমেন্টের শেয়ারদর ১৮.৫০ শতাংশ বেড়ে ৩৪.৫০ টাকা থেকে ৪১ টাকায় উঠেছে।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কোম্পানি ক্রমাগত লোকসান করেছে। লোকসানের কারণে কোম্পানিটি ২০১৭ সাল থেকে শেয়ারহোল্ডারদের কোন লভ্যাংশ দেয়নি।
সর্বশেষ ২০১৬ সালে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ১২ শতাংশ ক্যাশ লভ্যাংশ দিয়েছিল।
চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৮৬ পয়সা লোকসান হয়েছে। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ৩২ পয়সা।
লোকসানের কারণে কোম্পানিটির পিই রেশিও নেগেটিভ।