পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুসঙ্গিক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক ও মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানা ও অফিস তদন্ত করবে ঢাকা স্ট ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ। গত ১২ ডিসেম্বর দুই এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে চিঠি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। প্রতিষ্ঠান দুটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট থেকে এ তথ্য জানা যায় ।
প্রাপ্ত তথ্য মতে , বিএসইসির সহকারী পরিচারক মুসাব্বির বিন আশিক সই করা চিঠিটি গত ১২ ডিসেম্বর দুই এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে কোম্পানিটি নিয়মিতভাবে সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গ করে যাচ্ছে। এতে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে ইন্সপেকশন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী সাত কার্য দিবসের মধ্যে কোম্পানিটির ইন্সপেকশন করে আইন পদক্ষেপ নিতে বিএসইসিতে সুপারিশ পাঠাতে বলা হয়েছে।
মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ:
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডিএসইতে লভ্যাংশ সংক্রান্ত কোন তথ্য নেই।
আর্থিক অবস্থা:
পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান (ইপিএস) হয়েছে ৩৩ পয়সা। একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ঋণাত্বক ৪ টাকা ৫৪ পয়সা।
অন্যদিকে
কোম্পানিটি ২০০১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। কোম্পানিটির অনুমোধিত মূলধন ৮০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে উদ্যোক্তা/পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৫০ শতাংশ এবং বাকী ৫০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৫০ শতাংশ।
মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক:
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক লিমিটেডের ডিএসইতে লভ্যাংশ সংক্রান্ত কোন তথ্য নেই।
পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান (ইপিএস) হয়েছে ৮ টাকা ২৬ পয়সা। একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ঋণাত্বক ৬৭ টাকা ৮১ পয়সা।
প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে পুঁজিবাজারের বিভিন্ন শ্রেণির (উদ্যোক্তা/পরিচালক ছাড়া) বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৫০ শতাংশ মালিকানা।