পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ২০টি খাতের মধ্যে অন্যতম আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাত। এই খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে একটি কোম্পানির লেনদেন বন্ধ রয়েছে। বাকি ২২টি কোম্পানির মধ্যে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’২১) নয় মাসে আয় বেড়েছে ১০টি কোম্পানির। আয় কমেছে ৩টি কোম্পানির। তবে এই খাতের ১৩টি কোম্পানি মুনাফায় রয়েছে। যদিও ৩টির মুনাফা কমেছে।
বাকি ৯টি কোম্পানির মধ্যে লোকসানে রয়েছে ৫টি। চারটি কোম্পানি এখনও আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। আর লেনদেন বন্ধ রয়েছে পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স লিমিটেডের।
মুনাফা বৃদ্ধি পাওয়া ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে বে লিজিং, বিডি ফাইন্যান্স, ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং, জিএসপি ফাইন্যান্স, আইডিএলসি ফাইন্যান্স, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, প্রাইম ফাইন্যান্স, ইউনাইটেড ফাইন্যান্স এবং জুন ক্লোজিংয়ের আইসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
বে লিজিং: তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৭৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ০২ পয়সা। ইপিএস বেড়েছে ১ টাকা ৭৩ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারদর অনুযায়ি কোম্পানিটির পিই রেশিও ৯.০৩।
বিডি ফাইন্যান্স: তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ০৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ০১ পয়সা। ইপিএস বেড়েছে ১ টাকা ০৬ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারদর অনুযায়ি কোম্পানিটির পিই রেশিও ২১.৩৪।
ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং ফাইন্যান্স: তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৫৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩ টাকা ০৮ পয়সা। ইপিএস বেড়েছে ১ টাকা ৫০ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারদর অনুযায়ি কোম্পানিটির পিই রেশিও ১২.৭৭।
জিএসপি ফাইন্যান্স: তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ২৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ০১ পয়সা। ইপিএস বেড়েছে ২৬ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারদর অনুযায়ি কোম্পানিটির পিই রেশিও ১৫.৪৭।
আইডিএলসি ফাইন্যান্স: তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ০২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৪ টাকা ০২ পয়সা। ইপিএস অপরিবর্তিত রয়েছে। সর্বশেষ শেয়ারদর অনুযায়ি কোম্পানিটির পিই রেশিও ১১.২৯।
আইপিডিসি ফাইন্যান্স: তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৭০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৩৫ পয়সা। ইপিএস বেড়েছে ৩৫ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারদর অনুযায়ি কোম্পানিটির পিই রেশিও ১৭.৫৬।
লংকাবাংলা ফাইন্যান্স: তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৬৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৮৮ পয়সা। ইপিএস বেড়েছে ৭৯ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারদর অনুযায়ি কোম্পানিটির পিই রেশিও ১৭.৮৭।
প্রাইম ফাইন্যান্স: তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ০৩ পয়সা। ইপিএস বেড়েছে ২৬ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারদর অনুযায়ি কোম্পানিটির পিই রেশিও ৪১.৬৪।
ইউনাইটেড ফাইন্যান্স: তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৭১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৫০ পয়সা। ইপিএস বেড়েছে ২১ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারদর অনুযায়ি কোম্পানিটির পিই রেশিও ২৩.৬৬।
আইসিবি: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২১) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৭০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩৮ পয়সা। ইপিএস বেড়েছে ৩২ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারদর অনুযায়ি কোম্পানিটির পিই রেশিও ৪৩.৬৮।
এছাড়াও মুনাফা কমা তিন কোম্পানির মধ্যে রয়েছে ইসলামিক ফাইন্যান্স, ফনিক্স ফাইন্যান্স এবং ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স লিমিটেড।
ইসলামিক ফাইন্যান্স: তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৮৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৯৯ পয়সা। ইপিএস কমেছে ১০ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারদর অনুযায়ি কোম্পানিটির পিই রেশিও ২২.৪২।
ফনিক্স ফাইন্যান্স: তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৭৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৭৭ পয়সা। ইপিএস কমেছে ০৪ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারদর অনুযায়ি কোম্পানিটির পিই রেশিও ২০.১৬।
ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স: তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ১১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২ টাকা ১৩ পয়সা। ইপিএস কমেছে ০২ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারদর অনুযায়ি কোম্পানিটির পিই রেশিও ১৮.৯১।