1. [email protected] : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারসংবাদ.কম : শেয়ারসংবাদ.কম
  3. [email protected] : Zahir Islam : Zahir Islam
  4. [email protected] : muzahid : muzahid
  5. [email protected] : nayan : nayan
  6. [email protected] : khadija : khadija khadija
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৪ অপরাহ্ন

অর্থ আত্মসাতের কারখানা ফু-ওয়াং ফুডস

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২১
fu-wang

পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত ফু-ওয়াং ফুডস একসময় ভালো ব্যবসা করত। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে কোম্পানিটির ম্যানেজমেন্ট যেভাবে পারছে, সেভাবেই টাকা নিজেদের পকেটে সরিয়ে নিচ্ছে। যাতে করে দূর্বল হয়ে পড়েছে কোম্পানিটির ব্যবসা। যে কোম্পানির কারখানায় বিভিন্ন ভোগ্য পণ্য তৈরী করা মূল কাজ হলেও এখন পুরো কোম্পানিটিকেই অর্থ আত্মসাতের কারখানা বানানো হয়েছে।

ফু-ওয়াং ফুডের এই লুটপাটের তথ্য উঠে এসেছে নিরীক্ষকের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, ফু-ওয়াং ফুড কর্তৃপক্ষ ২০২০-২১ অর্থবছরে ৮৯ কোটি ৬০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি দেখিয়েছেন। কিন্তু এর বিপরীতে সঠিক কোন অ্যাকাউন্টিং বুকস নেই এবং ইনভয়েসের মতো ডকুমেন্টসও নেই।

এই কোম্পানি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নগদে পণ্য বিক্রি করে ভূয়া দেনাদার দেখানোর অভিযোগ আছে। এর মাধ্যমে তারা টাকা নিজেদের পকেটে নিয়েছেন। যা নিরীক্ষকের প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে।

ফু-ওয়াং ম্যানেজমেন্ট বাকিতে বিক্রিজনিত কারনে গ্রাহকদের কাছে ৫৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে বলে আর্থিক হিসাবে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু এরমধ্যে ৩২ কোটি ৪০ লাখ টাকার গ্রাহকদের ঠিকানা দিতে পারেনি ফু-ওয়াং ফুড কর্তৃপক্ষ। যাতে নিরীক্ষক ওই পাওনা টাকার বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি।

এমনকি বাকি পাওনা টাকার মধ্যে ৩ কোটি ২৯ লাখ টাকার গ্রাহকদের কাছে চিঠি দিলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি ২ কোটি ৯১ লাখ টাকার গ্রাহকদের কাছ থেকে। ফলে ওই অর্থের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

এদিকে ২০২১ সালের ৩০ জুন ফু-ওয়াং ফুড কর্তৃপক্ষ মজুদ পণ্য হিসেবে ২৮ কোটি ৩১ লাখ টাকার সম্পদ দেখিয়েছে। কিন্তু নিরীক্ষক সরেজমিনে পরিদর্শনে ২০ কোটি ৫৮ লাখ টাকার মজুদ পণ্য পায়নি। ফলে মজুদ পণ্য হিসেবে ওই পরিমাণ বেশি দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। এক্ষেত্রে হয়তো কম কিনে মজুদ পণ্য বেশি দেখানো হয়েছে এবং বেশি দেখানো অংশটুকুর অর্থ নিজেদের পকেটে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে বৃষ্টি বিস্কুট ফ্যাক্টরিকে অগ্রিম হিসেবে ১৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকা প্রদান দেখিয়েছে ফু-ওয়াং ফুড কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এর বিপরীতে কোন ডকুমেন্টস পায়নি নিরীক্ষক। এর অর্থ অগ্রিম হিসেবে প্রদান দেখিয়ে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ নিজেরাই টাকাটা আত্মসাৎ করেছেন। যে কারনে ওই টাকা আদায় নিয়ে নিরীক্ষক সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

ফু-ওয়াং ফুড কর্তৃপক্ষ ৪৬ কোটি ১৭ লাখ টাকার কাচাঁমাল ক্রয় দেখিয়েছেন। কিন্তু ডকুমেন্টস যাচাইয়ে ৪৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকার পেয়েছেন নিরীক্ষক। অর্থাৎ ম্যানেজমেন্ট কম কিনে বেশি দেখানোর মাধ্যমে ১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

ফু-ওয়াং ফুডের সাবসডিয়ারির বিক্রিত পণ্যের ২ কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয়ের মধ্যে পণ্য প্যাকেজিং ম্যাটেরিয়াল ব্যয় ৬৫ লাখ টাকা অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। যা দেশীয় বাজার থেকে কেনা এবং হোল্ডিং কোম্পানি (ফু-ওয়াং ফুড) দিয়ে গ্রহণ করানো হয়েছিল। কিন্তু এর কোন ডকুমেন্টস তারা দেখাতে পারেনি। ফলে প্রকৃত প্যাকেজিং ম্যাটেরিয়ালস ব্যবহার নিশ্চিত হতে পারেনি নিরীক্ষক। এছাড়া অস্বাভাবিক প্যাকেজিং ম্যাটেরিয়াল ব্যবহারের বিষয়টি পর্যবেক্ষনে উঠে এসেছে। অর্থাৎ প্যাকেজিং ব্যয় বেশি দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়ে থাকতে পারে।

উল্লেখ্য, ২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ফু-ওয়াং ফুডের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১১০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৯০.৭৪ শতাংশ। ব্যবসায় নিম্নমূখী যে কোম্পানিটির পর্ষদ ২০২০-২১ অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোন লভ্যাংশ ঘোষনা করেনি।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ