প্রতি বছরই কোরবানির ঈদের এক মাস আগে থেকেই দেশের বাজারে সব ধরনের মসলার দাম বেড়ে যায়। তবে এবার সেই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে না। ঈদের বাকি এক মাসেরও কম সময়। উল্টো গত কয়েকদিনে প্রায় সব ধরনের মসলার দাম কমেছে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতি বছরই কোরবানির ঈদের অন্তত এক মাস আগে থেকে মসলার দাম বেড়ে যায়। কিন্তু এবার মহামারি করোনাভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতেই সবাই এখন ব্যস্ত। এ কারণেই এখনো ঈদ কেন্দ্রীক কেনাকাটা শুরু হয়নি। তবে ঈদের আগে মসলার চাহিদা বাড়লে তখন কিছুটা দাম বাড়তে পারে।
সোমবার (৬ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার সুত্রে জানা যায়, দাম কমেছে দারুচিনির। ৪৫০ টাকার ওপরে থাকা দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকায়। দারুচিনির পাশাপাশি দাম কমেছে এলাচ’র। ৩২০০ থেকে ৩৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া এলাচের দাম কমে ২৭০০ থেকে ৩০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দাম করেছে জিরার। করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে জিরার কেজি রেকর্ড ৫০০ টাকা স্পর্শ করে। তবে এরপর কিছুটা দাম কমে রোজার ঈদের আগে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়। সেই জিরার দাম কমে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকার মধ্যে চলে এসেছে।
দাম কমার তালিকায় রয়েছে লবঙ্গ, তেজপাতা, ধনে, আদা, পেঁয়াজ, রসুন, হলুদ, শুকনা মরিচ। আমদানি করা রসুনের কেজি ৮০ টাকায় চলে এসেছে। দেশি পেঁয়াজের কেজি ৪০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। অথচ সপ্তাহ দুই আগেও রসুনের কেজি ১৪০ টাকা এবং পেঁয়াজের কেজি ৫০ টাকার ওপরে ছিল।
১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া আদা এখন ১২০ থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শুকনা মরিচের দাম কমে ২০০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া লবঙ্গের দাম কমে ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা হয়েছে।
দেড়শ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া তেজপাতা ১২০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। ১৮০ টাকা থেকে কমে ধনের কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে রামপুরার ব্যবসায়ী আল আমিন বলেন, কোরবানির ঈদে সব থেকে বেশি মাংস রান্না হয়। যাদের সামর্থ্য নেই তারাও প্রচুর কোরবানির মাংস পান। এ কারণে কোরবানির ঈদ আসার এক মাস আগে থেকেই মাংস রান্নার মসলার দাম বেড়ে যায়। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে উল্টো সব ধরনের মসলার দাম গত কমেছে।
তিনি আরও বলেন, করোনার কারণে স্বাভাবিকভাবেই এবার কোরবানির সংখ্যা কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পরিস্থিতি যাই হোক ঈদের এক সপ্তাহ আগে মসলার চাহিদা বাড়বে। তখন দাম কিছুটা বাড়তে পারে।মানুষ এখন জীবন বাঁচাতেই ব্যস্ত, ঈদের সেই আনন্দ মানুষের মাঝে আর নেই।
বাংলার কন্ঠ/০৭ জুলাই, ২০২০/এ এইচ