করোনাকালে অস্বাভাবিক হারে কমে গেছে পুঁজিবাজারে লেনদেন। দীর্ঘদিন ধরে মূল মার্কেটে ১০০ কোটি টাকার নিচে লেনদেন হচ্ছে। পাশাপাশি দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির সংখ্যা থাকছে ৪০-এর নিচে। ৩১ মে লেনদেন চালু হওয়ার পর গতকালই প্রথমবারের মতো ৫০টির বেশি কোম্পানির শেয়ারদর বাড়তে দেখা গেছে।
গতকালের বাজারচিত্রে দেখা যায়, দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৫৭টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। এদিকে বেশিসংখ্যক কোম্পানির শেয়ারদর বাড়ার পেছনে প্রধান ভূমিকা ছিল ওষুধ ও রসায়ন এবং ব্যাংক খাতের। গতকাল এ খাতের বেশিসংখ্যক কোম্পানির শেয়ারদর বাড়তে দেখা যায়। বেশ কিছুদিন ধরে ওষুধ ও রসায়ন খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর ঊর্ধ্বমুখী ছিল। সে কারণে গত দুই কার্যদিবস এ খাত থেকে মুনাফা তুলে নিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা, যার জের ধরে বিক্রির চাপে এ দুই দিন ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানির শেয়ারদর কমতে দেখা যায়। গতকাল আবারও এ খাতে ফিরে এসেছেন বিনিয়োগকারীরা। ক্রেতার আগ্রহ থাকার কারণে গতকাল এ খাতে অন্য খাতের তুলনায় বেশিসংখ্যক শেয়ারদর বেড়েছে।
এদিকে ওষুধ খাতের মতো বেড়েছে ব্যাংক শেয়ারের চাহিদা। গতকাল বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এই খাতের শেয়ারে সন্তোষজনক আগ্রহ লক্ষ করা যায়, যে কারণে এই খাতেরও বেশ কিছু সংখ্যক কোম্পানির শেয়ারদর বাড়ে। দর বৃদ্ধি পাওয়া ৫৭ কোম্পানির মধ্যে ২৫টিই ছিল ওষুধ ও রসায়ন এবং ব্যাংক খাতের কোম্পানি। এছাড়া অন্যান্য খাতেও কিছুটা বিচারণ দেখা যায় বিনিয়োগকারীদের, যার জের ধরে গতকাল মূল মার্কেটে লেনদেনও কিছুটা বেড়েছে। গতকাল ডিএসই মোট ১৫০ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ব্লক মার্কেটের লেনদেন ছিল ৫৮ কোটি টাকা। এই মার্কেটে গতকাল মোট ৩৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হতে দেখা যায়। এদিকে গত কয়েক কার্যদিবস পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ আগের চেয়ে কিছুটা বেশি দেখা যায়। লেনদেনে অংশ নিচ্ছেন এসব বিনিয়োগকারী, যে কারণে লেনদেন বাড়ার পাশাপাশি বাড়ছে সূচক। গতকাল এমন চিত্র পরিলক্ষিত হয়, যার জের ধরে এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক বৃদ্ধি পায় ১৩ পয়েন্ট। দিন শেষে সূচকের অবস্থান হয় তিন হাজার ৯৯৪ পয়েন্টে।
বাংলার কন্ঠ/০৭ জুলাই, ২০২০/এ এইচ