1. [email protected] : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারসংবাদ.কম : শেয়ারসংবাদ.কম
  3. [email protected] : Zahir Islam : Zahir Islam
  4. [email protected] : muzahid : muzahid
  5. [email protected] : nayan : nayan
  6. [email protected] : khadija : khadija khadija
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৪ পূর্বাহ্ন

‘বাংলাদেশে প্রযুক্তিগত গবেষণা, উন্নয়ন ও উদ্ভাবনে নতুন মাত্রা দিয়েছে ওয়ালটন’

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১
Waltons-research

কোনো প্রতিষ্ঠান কিংবা দেশের উন্নয়নের জন্য শ্রমের পাশাপাশি প্রয়োজন মেধা ও দক্ষতার প্রয়োগ। এজন্য দরকার গবেষণা ও উদ্ভাবন। উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতার মাপকাঠি হলো তার রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন কার্যক্রম। এ ক্ষেত্রে অনন্য উদাহরণ বাংলাদেশি ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। প্রতিটি পণ্যের জন্য ওয়ালটনের রয়েছে আলাদা রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন বিভাগ। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে প্রযুক্তিগত গবেষণা, উন্নয়ন ও উদ্ভাবনে নতুন মাত্রা দিয়েছে ওয়ালটন।

‘ওয়ালটন রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সামিট-২০২১’-এ এসব কথা বলেছেন বক্তারা। ‘সৃষ্টি সুখের উল্লাসে’ স্লোগানে মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে দিনব্যাপী ওই সামিট বা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে দেশীয় প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন শিল্পে ওয়ালটনের অভাবনীয় অগ্রগতি, পণ্য উৎপাদনে নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার, গবেষণাকর্ম আর উদ্ভাবনী কার্যক্রম প্রদর্শন এবং এসংক্রান্ত জ্ঞানের বিনিময় (নলেজ শেয়ারিং) হয়েছে। দেশের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি খাতের গবেষক ও বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন ওয়ালটনে কর্মরত প্রায় এক হাজার প্রকৌশলী।

সকালে ফিতা কেটে সামিটের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট লেখক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসটিংগুইজড প্রফেসর ও কম্পিউটার বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. কায়কোবাদ, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুর্শেদ।

সে সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রুয়েটের অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক, ড. মো. ফারুক হোসেন ও ড. নিরেন্দ্র নাথ মুস্তাফি, আইওটি’র অধ্যাপক ড. আশরাফুল হক, ড. এনায়েতউল্লাহ পাটোয়ারী, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এএমডি আবুল বাশার হাওলাদার, ডিএমডি নজরুল ইসলাম সরকার, ইভা রিজওয়ানা নিলু, এমদাদুল হক সরকার, হুমায়ূন কবীর, আলমগীর আলম সরকার, সিনিয়র ইডি এস এম জাহিদ হাসান, উদয় হাকিম, কর্নেল (অবঃ) শাহাদাত আলম, তানভীর রহমান, তাপস কুমার মজুমদার, ফিরোজ আলম, আনিসুর রহমান মল্লিক, ইডি আজিজুল হাকিম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর চিত্রনায়ক আমিন খান।

সম্মেলনে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, সারা জীবন স্বপ্ন দেখেছি বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ একটি রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার হবে। ওয়ালটনের মাধ্যমে আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন কাজে চ্যালেঞ্জ আছে। ওয়ালটনের তরুণ ও মেধাবী প্রকৌশলীরা সেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছে। তারা বাংলাদেশের ভবিষ্যত। আমি চাই তাদের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হোক। ওয়ালটন সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে আরো ব্যাপকভাবে তুলে ধরুক।

ড. কায়কোবাদ বলেন, ওয়ালটন কারখানায় এলে গর্বে আমার বুকটা ভরে যায়। বাংলাদেশের মানুষের প্রযুক্তিগত দক্ষতা আছে। ওয়ালটন সেই দক্ষতাকে আরো উন্নত করেছে। ওয়ালটনের পণ্য রপ্তানি হওয়ার সঙ্গে বিশ্বে বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে। দেশের প্রকৌশলী ও বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা এখানে কাজের সুযোগ পাচ্ছে। তাদের মেধার প্রকাশ ঘটাতে পারছে। বাংলাদেশি হিসেবে আমি গর্বিত যে ওয়ালটনের মতো শিল্পপ্রতিষ্ঠান আমাদের আছে।

এস এম শামসুল আলম বলেন, ওয়ালটন দেশের মেধাবী প্রকৌশলীদের কাজের ক্ষেত্র তৈরি করেছে। আমরা যদি দেশের মেধা ধরে রাখতে এবং কাজে লাগাতে পারি, তবেই দ্রুত উন্নয়ণ সম্ভব। ওয়ালটনের মেধাবী প্রকৌশলীরা এ খাতে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছেন।

গোলাম মুর্শেদ ওয়ালটনের তরুণ প্রকৌশলীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ওয়ালটনের কর্মীরা স্বপ্ন দেখতে জানে, কাজ করতে জানে। আমাদের প্রত্যেকেরই এই দেশে জন্ম নেয়ার একটি উদ্দেশ্য আছে। যা স্বার্থক করতে হবে। এ দেশের প্রতি আমাদের কর্তব্য আছে। সেটা পালন করতে হবে। রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টারে থাকবে সৃষ্টির সুখ, আনন্দ ও উল্লাস। আমরা ইনোভেশন দিয়েই পৃথিবী জয় করবো।

এর আগে সামিটের প্রথম পর্বে অতিথিরা ওয়ালটনের প্রতিটি প্রোডাক্টের জন্য আলাদাভাবে সাজানো ‘রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন’ বুথগুলো ঘুরে দেখেন। সে সময় দেশীয় পণ্য উৎপাদনে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, গবেষণা এবং উদ্ভাবনী কার্যক্রমসমূহ ব্যাখ্যা করেন ওয়ালটনের প্রতিটি প্রোডাক্টের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত আরএন্ডডি প্রকৌশলীরা। সে সময় ওয়ালটনের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টারের নামফলক উন্মোচন করা হয়। দ্বিতীয় পর্বে অতিথিরা রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন ব্রোসিউর উম্মোচন করেন।

সম্মেলনের আহ্বায়ক ওয়ালটনের চিফ রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন অফিসার প্রকৌশলী তাপস কুমার মজুমদার বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে অন্যতম সেরা গ্লোবাল ব্র্যান্ড হয়ে ওঠার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন। ওই লক্ষ্য বাস্তবায়নে রিসার্চ এন্ড ইনোভেশনের রোডম্যাপ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন ওয়ালটনের বিভিন্ন পণ্যের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন বিভাগের প্রধানগণ। সামিটের উদ্দেশ্য ছিলো ওয়ালটন পণ্যের প্রযুক্তিগত গবেষণা ও উন্নয়ণ সম্পর্কে সবাইকে জানানো।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সূচকের পতনে চলছে লেনদেন

  • ২০ নভেম্বর ২০২৪