বীমা মালিকদের ৬০ শতাংশ শেয়ার ধারণের ক্ষেত্রে আমাদের দুটি সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। একটি হচ্ছে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে, অন্যটি অতালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে। এজন্য অতালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে তারা যদি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে চায় সেক্ষেত্রে তাদের যদি ৬০ শতাংশ শেয়ার ধারণ না হয়ে থাকে তাহলে তাদের অনুমোদন দেয় হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেন।
গতকাল বীমা সাংবাদিকদের সংগঠন ইন্স্যুরেন্স রিপোর্টার্স ফোরাম (আইআরএফ) আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা কলেন।
মোশাররফ হোসেন বলেন, আর যারা তালিকাভুক্ত বা পুঁজিবাজারে আছে তাদের ক্ষেত্রে দুটি জটিলতা আছে। একটি আইনি জটিলতা, অন্যটি অপারেশনগত জটিলতা। যেহেতু তারা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সেক্ষেত্রে তাদের ৬০ শতাংশ পূরণ করার জন্য পুঁজিবাজার থেকে শেয়ার কিনতে হবে। এক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা আছে। যেহেতু এখানে আইনিভাবে বিষয়টি বলা আছে, তাই আমরা আইনি বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছি এবং সেভাবে এটা বাস্তবায়নের জন্য কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছি।
সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির বিষয়ে তিনি বলেন, কোম্পানিটির নানা সমস্যা আছে। আমরা সে বিষয়টি দেখছি। কোম্পানিটির যে সমস্যা ছিল তার কিছুটা এরই মধ্যে তারা সমাধান করেছি। সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সকে আমরা এ মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত সময় দিয়েছিলাম। এখন পর্যন্ত তারা ২৫ কোটি টাকা বীমা দাবি পরিশোধ করেছে। তাদের কিছু অ্যাসেট ছিল তা লিকুইড করে এ দাবি পরিশোধ করা হয়েছে। বাকি যেসব দাবি রয়েছে সেগুলো পূরণ করার জন্য তারা এক মাস সময় চেয়েছে। আমরা আশা করি সে সমস্যাগুলোরও সমাধান হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, একটি লাইফ বীমা কোম্পানি যখন সঠিক সময়ে বীমা দাবি পরিশোধ না করে তখন এক ধরনের বদনাম ছড়ায়। এ কারণে আমরা লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর আর্থিক ভিত শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নিয়েছি। এরই মধ্যে সুপারভাইজরি লেভেল এবং কমিশন কাঠামো পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। ফলে জীবন বীমা কোম্পানিগুলোর খরচ ১৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাবে। যা কোম্পানির আর্থিক অবস্থা শক্তিশালী করবে। গত বৃহস্পতিবার জারীকৃত এ-সংক্রান্ত সার্কুলারটি আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আইডিআরএ চেয়ারম্যান আরো বলেন, বীমা খাতের আইনকানুনে বেশ পরিবর্তন আনা হচ্ছে। নন-লাইফের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা আছে। সেক্ষেত্রে নিরীক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পাশাপাশি আমাদের বীমা খাতে যে একচুয়ারির ঘাটতি রয়েছে সেটা পূরণ করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।