ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দিয়ে সার্কিট ব্রেকারের (দাম কমা বা বাড়ার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সীমা) নতুন নিয়ম নির্ধারণ করায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক দেখা দিলেও তা কাটতে খুব বেশি সময় লাগেনি।
শেয়ারবাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের প্রতিষ্ঠিত হওয়া আস্থার ওপর নির্ভর করে আবার ছুটতে শুরু করেছে শেয়ারবাজার। সোমবার লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ৬০ পয়েন্টের বেশি বেড়েছে।
গত বছর দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলো শেয়ারবাজারে ভয়াবহ ধস নামে। শেয়ারবাজারে পতন ঠেকাতে গত বছরের ১৯ মার্চ সে সময়ের কমিশন প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দিয়ে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দেয়।
তবে প্রায় এক বছর ধরে শেয়ারবাজার ভালো অবস্থানে থাকায় গত বৃহস্পতিবার ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সেই সঙ্গে সার্কিট ব্রেকারের নতুন নিয়ম আরোপ করা হয়।
এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক দেখা দেয়। এ পরিস্থিতিতে রোববার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরুতে সূচকের বড় পতন হয়। তবে ফ্লোর প্রাইস নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্ক কাটতে খুব বেশি সময় লাগেনি। রোববার লেনদেনের শেষ দিকে ঘুরে দাঁড়ায় বাজার।
আর সোমবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে লেনদেনের শুরুতেই সূচকের বড় উত্থানের আভাস পাওয়া যায়। যা প্রথম দুই ঘণ্টার লেনদেনে অব্যাহত রয়েছে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১২টা ৮ মিনিটে ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসই-এক্স ৬৮ পয়েন্টে বেড়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ ১০ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ১৫ পয়েন্ট।
এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ২৬৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৯টির। আর ২৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৪ কোটি ৯৬ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৮৯ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৬৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৭৬টির, কমেছে ৭৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টির।
ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেয়ার বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মো. রকিবুর রহমান বলেন, ‘ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দিয়ে বিএসইসি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মাধ্যমে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের চয়েস বাড়বে। এর ফলে লেনদেনের গতি যেমন বাড়বে, তেমনি বাজারেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।’