টানা দুই দিন সংশোধনের পর সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস আজ মঙ্গলবার (১৫ জুন) ইতিবাচক প্রবণতায় ফিরেছে দেশের পুঁজিবাজার। আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ৮ পয়েন্ট এবং বেড়েছে লেনদেনও। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কিন্তু ইতিবাচক বাজারেও ৬ খাতের শেয়ারে বিপর্যয় হয়েছে। এসব খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। দর বিপর্যয়ের খাতগুলো হলো-মিউচুয়াল ফান্ড, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, ব্যাংক, আর্থিক, জ্বালানি এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতে।
মিউচুয়াল ফান্ড: মিউচুয়াল ফান্ড খাতের ৩৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আজ ইউনিট দর কমেছে ২৯টির বা ৮০.৫৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের। দর বেড়েছে ২টির বা ৫.৪০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের। অপরিবর্তিত রয়েছে ৫টির বা ১৩.৫১ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের। দর বেশি কমেছে প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- আইএফআইসি মিউচুয়াল ফান্ডের ৩.০৩ শতাংশ, ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ২.৮৫ শতাংশ, মার্কেন্টাইল ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ২.৩৮ শতাংশ, ফার্স্ট প্রাইম ফাইন্যান্সের ২ শতাংশ।
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক: খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে লেনদেন হওয়া ২০টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ১৫টির বা ৭৫ শতাংশ কোম্পানির। দর বেড়েছে ৪টির বা ২০ শতাংশ কোম্পানির। অপরিবর্তিত রয়েছে ১টির বা ৫ শতাংশ কোম্পানির। দর বেশি কমেছে- শ্যামপুর সুগারের ২.৪৩ শতাংশ, ফাইন ফুডের ১.১০ শতাংশ, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোর ০.৬৪ শতাংশ, ফুয়াং ফুডের ১.২৮ শতাংশ, গোল্ডেন হারভেস্টের ১.৯৪ শতাংশ, মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের ১.৬৯ শতাংশ, মেঘনাপেটের ৩.৩১ শতাংশ।
ব্যাংক: ব্যাংক খাতের ৩১টি কোম্পানির মধ্যে আজ দর কমেছে ২১টির বা ৬৭.৭৪ শতাংশ কোম্পানির। দর বেড়েছে ৫টির বা ১৬.১৩ শতাংশ কোম্পানির। দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫টির বা ১৫.১২ শতাংশ কোম্পানির। দর বেশি কমেছে- এনআরবিসি ব্যাংকের ৪.২৩ শতাংশ, ডাচবাংলা ব্যাংকের ৩.৭০ শতাংশ, এবি ব্যাংকের ৩.৬৭ শতাংশ, প্রাইম ব্যাংকের ৩.৬৫ শতাংশ, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ২.৩৮ শতাংশ, স্টান্ডার্ড ব্যাংকের ২.২২ শতাংশ, সাউথ ইস্ট ব্যাংকের ২.১৪ শতাংশ।
আর্থিক: আর্থিক খাতে লেনদেন হওয়া ২২টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ১৪টির বা ৬৩.৬৪ শতাংশ কোম্পানির। বেড়েছে ৬টির বা ২৭.২৭ শতাংশ কোম্পানির। অপরিবর্তিত রয়েছে ২টির বা ৯.০৯ শতাংশ কোম্পানির। দর বেশি কমেছে- ইউনিয়ন ক্যাপিটালের ৪.১০ শতাংশ, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ৩.৭৭ শতাংশ, ৩.৪৪ শতাংশ, ফার্স্ট ফাইন্যান্সের ২.৯৮ শতাংশ, ফারইস্ট ফাইন্যান্সের ৩.৫০ শতাংশ, মাইডাস ফাইন্যান্সের ২.০১ শতাংশ, ফনিক্স ফাইন্যান্সের ১.৮৮ শতাংশ।
জ্বালানি: জ্বালানি খাতে লেনদেন হওয়া ২১টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ১৪টির বা ৬৩.৬৪ শতাংশ কোম্পানির। বেড়েছে ৬টির বা ৩১.৮২ শতাংশ কোম্পানির। অপরিবর্তিত রয়েছে ১টি কোম্পানির দর। দর কমে পাওয়া প্রধান কোম্পানিগুলো হলো- জিবিবি পাওয়ার ৩.৬৭ শতাংশ, বিডি ওয়েল্ডিং ২.৭৯ শতাংশ, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল ১.৯৯ শতাংশ, ডেসকো ১.১৭ শতাংশ, ডরিন পাওয়ার ১.৪১, যমুনা অয়েল ০.৮০ শতাংশ, খুলনা পাওয়ারের ১.৪৮ শতাংশ অন্যতম।
ওষুধ ও রসায়ন: ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হওয়া ৩০টির কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ১৯টির বা ৬৩.৬৩ শতাংশ কোম্পানির, বেড়েছে মাত্র ১০টির বা ৩৩.৩৩ শতাংশ কোম্পানির। অপরিবর্তিত রয়েছে ১টির। দর বেশি কমেছে- ওয়াটা কেমিক্যালের ১.৯৮ শতাংশ, অ্যাক্টিভ ফাইনের ১.৭১ শতাংশ, এএফসি এগ্রোর ১.৫২ শতাংশ, সেন্ট্রাল ফার্মার ১.৬৫ শতাংশ, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালের ১.৮৪ শতাংশ, কোহিনুর কেমিক্যালের ২ শতাংশ।