বীমা ও ব্যাংক খাতের পর বিনিয়োগকারীদের এবং আগ্রহ বাড়ছে বস্ত্র, মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের শেয়ারে। এ কারণে আজ রোববার (১৩ জুন) পুঁজিবাজারের ১৭ খাতের শেয়ার দরে মন্দাভাব থাকলেও বস্ত্র, মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের শেয়ার দরে চাঙ্গাভাব দেখা গেছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জুন ক্লোজিং হওয়ায় বস্ত্র, মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের শেয়ারের সামনে ডিভিডেন্ড মৌসুম আসছে। এ কারণে খাতগুলোর শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে। এছাড়া, এই তিন খাতের বেশিরভাগ কোম্পানি করোনার মধ্যেও ভালো মুনাফা করেছে।
মিউচুয়াল ফান্ড খাত: মিউচুয়াল ফান্ড খাতে লেনদেন হওয়া ৩৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আজ দর বেড়েছে ৩২টির বা ৮৮.৮৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের। দর বৃদ্ধি পাওয়া প্রধান প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- এক্সিম ব্যাংক-১ম মিউচুয়াল ফান্ড ৭.২৪ শতাংশ, ইবিএল-১ম মিউচুয়াল ফান্ড ৬.৬৬ শতাংশ, পিএইচপি-১ম মিউচুয়াল ফান্ড ৬.০৬ শতাংশ, ইবিএল এনআরবি-১ম মিউচুয়াল ফান্ড ৫.৬৬ শতাংশ, এফবিএফ মিউচুয়াল ফান্ড ৫.০৮ শতাংশ, সিএপিএমবিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড ৪.৭৬ শতাংশ, আসিবি সোনালী-১ম মিউচুয়াল ফান্ড ৪.৬৫ শতাংশ, এসইএম লেকচার মিউচুয়াল ফান্ড ৪.৬৩ শতাংশ, আইএফআইসি-১ম মিউচুয়াল ফান্ড ৪.৬১ শতাংশ, জনতা ব্যাংক-১ম মিউচুয়াল ফান্ড ৪.৪৭ শতাংশ।
বস্ত্র খাত: বস্ত্র খাতে লেনদেন হওয়া ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে আজ দর বেড়েছে ২৯টির বা ৫০.৮৮ শতাংশ কোম্পানির। কমেছে ২৭টির বা ৪৭.৩৭ শতাংশ কোম্পানির। অপরিবর্তিত রয়েছে ১টির। দর বৃদ্ধি পাওয়া প্রধান প্র্রধান কোম্পানিগুলো হলো- মন্নু ফেব্রিক্স ১০ শতাংশ, ফ্যামিলি টেক্সটাইল ১০ শতাংশ, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল ১০ শতাংশ, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ ৯.৯৬ শতাংশ, মিথুন নিটিং ৯.৯০ শতাংশ, জেনারেশন নেক্সট ৯.৮০ শতাংশ, সাফকো স্পিনিং ৯.৭৫ শতাংশ। কোম্পানিগুলোর সবগুলোই সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দরে বিক্রিতা সংকটে থেকেছে।
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত: খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে লেনদেন হওয়া ২০টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৯টির বা ৪৫ শতাংশ কোম্পানির। কমেছে ৮টির বা ৪০ শতাংশ কোম্পানির। অপরিবর্তিত রয়েছে ৩টির। দর বৃদ্ধি পাওয়া প্রধান প্রধান কোম্পানিগুলো হলো-মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক ৯.৯১ শতাংশ, এমারল্ড ওয়েল ৯.৬৩ শতাংশ, মেঘনা পেট ৭.৮৯ শতাংশ, তৌফিকা ফুড ৩.৪২ শতাংশ।