শেয়ারবাজারের কোন সিকিউরিটিজের ভবিষ্যতে দর বাড়বে বা কমবে ইত্যাদি বিষয়ে গুজব ছড়ানো ৮-১০টি গ্রুপ সনাক্ত করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) গঠিত তদন্ত কমিটি। যে কমিটি এরইমধ্যে গ্রুপগুলোর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে।
গুজবকারীদের সনাক্তে গত ২৪ মে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করে বিএসইসি। এই কমিটি শেয়ারবাজার নিয়ে গুজব ছড়ায় এমন ৮-১০টি গ্রুপ সনাক্ত করেছে। যার সঙ্গে জড়িতদের কমিশনে ডাকা হবে। এছাড়া তাদের আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা সংস্থা ও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) সহযোগিতা চেয়েছে কমিশন।
বিএসইসির গঠিত ওই কমিটিতে রয়েছেন – বিএসইসির পরিচালক রাজিব আহমেদ, সিডিবিএলের এপ্লিকেশন সাপোর্ট বিভাগের প্রধান মো. মঈনুল হক, ডিএসইর সিস্টেম অ্যান্ড মার্কেট অ্যাডমিন বিভাগের প্রধান আবু নুর মুহাম্মদ হাসানুল করিম ও ডিএসইর সার্ভেইল্যান্স বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মো. মাহফুজুর রহমান।
তদন্ত কমিটিকে আগামি ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
এরইমধ্যে গুজবের সঙ্গে জড়িত কয়েকটি গ্রুপের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে তদন্ত কমিটি যোগাযোগ করেছে বলেও জানা গেছে। যে কমিটি গুজবকারীদের সঙ্গে ইনসাইডার ট্রেডিং, কোন ব্রোকারেজ হাউজ জড়িত কিনা ইত্যাদি খতিয়ে দেখবে।
এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, গুজবকারীদের আইনের আওতায় আনতে এরইমধ্যে ৮-১০টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গ্রুপ সনাক্ত করেছে তদন্ত কমিটি। এছাড়া অন্যদের সনাক্তে গোয়েন্দা সংস্থা ও বিটিআরসির সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই অন্যরাও সনাক্ত হবে।
কমিশন গুজবকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে কঠোর অবস্থানে জানিয়ে বিএসইসির এই নির্বাহি পরিচালক বলেন, এবার গুজবের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আর গুজবকারীদের সঙ্গে যদি কেউ জড়িত থাকে, তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে। এলক্ষ্যে তদন্ত কমিটি সর্বাত্মক কাজ করছে।
তবে তদন্ত কাজ শুরু হওয়ার পরে এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দু-একজনের মধ্যে সচেতনতা তৈরী হয়েছে। যারা ভবিষ্যতে আইটেম নিয়ে গুজব ছড়াবেন না বলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।
এর আগে গুজবাকারীদেরকে এ জাতীয় কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর নির্দেশ দেয় বিএসইসি। একইসঙ্গে বিএসইসি, ডিএসই ও সিএসইর নাম ও লোগো ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। অন্যথায় বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে সিকিউরিটিজ আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে।
কিন্তু তারপরেও অনেকে সেই কাজ চালিয়ে যায়। যে কারনে কমিশন তদন্ত কমিটি গঠন করতে বাধ্য হয়। কমিটি গুজবকারীদের সনাক্তে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য তদন্ত করবে।