এমনিতেই অন্যান্য খাতের তুলনায় ব্যাংক, বীমা, এনবিএফআই কোম্পানিগুলো বেশি হারে কর প্রদান করে আসছিল। এরমধ্যে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে অন্যসব খাতের কোম্পানিগুলোর করহার কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। যাতে করে ওইসব খাতের কোম্পানির সঙ্গে ব্যাংক-বীমার কর হারের ব্যবধান আরও বাড়বে। এছাড়া ব্যাংক-বীমার জন্য বাজেটে কোন সুবিধাও প্রদান করা হয়নি। যে কারনে এবারের বাজেটে ব্যাংক-বীমার বিনিয়োগকারীরা হতাশ।
বর্তমানে তালিকাভুক্ত ব্যাংক, বীমা ও এনবিএফআই খাতের কোম্পানিগুলোকে ৩৭.৫০ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। যেখানে অন্যসব খাতের কোম্পানিগুলোর করহার ২৫ শতাংশ। অর্থাৎ ব্যাংক, বীমা, এনবিএফআইয়ের থেকে ১২.৫০ শতাংশ কম হারে কর দেয় অন্যসব খাতের কোম্পানি।
এরমধ্যে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে অন্যসব খাতের কোম্পানিগুলোর জন্য করহার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২২.৫০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। তবে ব্যাংক, বীমা, এনবিএফআইয়ে আগামি অর্থবছরেও একই করহার রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে করে ব্যাংক, বীমা, এনবিএফআইয়ের সঙ্গে অন্যসব খাতের কোম্পানিগুলোর করহারের ব্যবধান বেড়ে হবে ১৫ শতাংশ।
অথচ শেয়ারবাজারে ব্যাংক, বীমা ও এনবিএফআইয়ের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহন রয়েছে। যেখানে লাখো বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগ রয়েছে। যাদেরকে বাজেটে কোন সুযোগ দেওয়া হয়নি। এদেরকে পাশ কাটিয়ে শুধুমাত্র একপেশে সুবিধা দেওয়ায় হতাশ বিনিয়োগকারীরা।
বিনিয়োগকারীদের মতে, করোনাকালীন এই দূর্যোগে অন্যসব খাতের ন্যায় ব্যাংক, বীমা, এনবিএফআইয়ের কোম্পানিগুলোকেও সরকার কিছুটা কর ছাড় দিতে পারত। এতে করে বাজারে একটা সামঞ্জস্য তৈরী হত এবং সব খাতের বিনিয়োগকারীরা উপকৃত হত।
উল্লেখ্য, শেয়ারবাজারে ২২টি খাতের মধ্যে মোবাইল অপারেটর এবং তামাকজাত পণ্য তৈরীকারী কোম্পানির ক্ষেত্রেও ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে করহার অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এরমধ্যে মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলো ৪০ শতাংশ ও তামাকজাত পণ্য তৈরীকারী কোম্পানিগুলো ৪৫ শতাংশ (+২.৫০% সারচার্জ) হারে কর দেয়।